ডিভোর্স তো শুনেছেন, গ্রে ডিভোর্স শুনেছেন কি, এই ডিভোর্স এখন বাড়ছে
স্বামীস্ত্রীর মধ্যে আইনি পথে বিবাহবিচ্ছেদ হলে তাকে বলা হয় ডিভোর্স। এ তো সকলের জানা। ইদানিং কিন্তু গ্রে ডিভোর্স বাড়ছে। কি এই গ্রে ডিভোর্স।
স্বামীস্ত্রী যদি আর একসঙ্গে থাকতে না চান, সম্পর্কের বন্ধন ছিন্ন করতে চান তাহলে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। এর অনেক কারণ হতে পারে। তবে ডিভোর্স একেবারেই একটি আইনি পথ।
আইনি পথে নিয়ম কানুন মেনে ২টি মানুষ তাঁদের বিবাহবন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হন। ডিভোর্স শব্দটা সকলের কাছেই পরিচিত।
কিন্তু এখন ক্রমে বাড়ছে গ্রে ডিভোর্স। ডিভোর্স তো শুনেছেন কিন্তু গ্রে ডিভোর্স শুনেছেন কি? তাহলে একটু জানা যাক গ্রে ডিভোর্স কি।
গ্রে ডিভোর্স সেই বিবাহবিচ্ছেদই। কিন্তু গ্রে ডিভোর্স মানে কমপক্ষে ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক স্বামীস্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ। গ্রে কারণ বয়স হলে চুলের রং ধুসর হয়ে আসে। তার থেকেই গ্রে। সেই সূত্র ধরেই গ্রে ডিভোর্স।
এখন তো ৭০, ৮০ বছর বয়সেও ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে। ফলে বয়স্ক স্বামীস্ত্রী আইনি পথে বিবাহবিচ্ছেদ করলে তাঁদের সেই ডিভোর্সকে গ্রে ডিভোর্স বলা হয়। একে অনেকে সিলভার স্প্লিটারস্ বলেও ব্যাখ্যা করে থাকেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রে ডিভোর্স বেড়েই চলেছে। তবে এমন নয় যে কেবল মার্কিন মুলুকেই এমনটা হচ্ছে। ভারত সহ নানা দেশেই গ্রে ডিভোর্সের প্রবণতা বাড়ছে।
কমবয়সী ২ নারী পুরুষের ডিভোর্স অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। কিন্তু মনে করা হত বিয়ের পর দীর্ঘ বছর পার করার পর আর কেউ ডিভোর্সের কথা ভাবেন না। বয়স বাড়লে বরং তাঁরা একে অপরের হাত ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। গ্রে ডিভোর্স বেড়েই চলেছে সমাজে।