সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রীতি শুরু হয়েছিল কীভাবে, সে এক অন্য কাহিনি
সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের রীতি এখনও অনেক দেশেই বহাল রয়েছে। এই রীতি শুরু হওয়াটা কিন্তু এক দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে হয়েছিল।

সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ। সহজ করে বললে সপ্তাহে ৫ দিন, ৮ ঘণ্টা করে কাজ। ২ দিন ছুটি। এই রীতি মেনে এখনও বহু দেশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস তাদের কর্মীদের নিয়োগ করে।
এখন অবশ্য একাধারে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রস্তাব যেমন সামনে আসছে, তেমন আবার বিশ্বের কয়েকটি দেশ সপ্তাহে ৪ দিন কাজে নামিয়ে এনেছে কর্মচারিদের পরিশ্রম। মনে করা হচ্ছে তাতে অনেক বেশি উৎপাদন ও উন্নত মানের উৎপাদন সম্ভব।
কিন্তু যা এখনও বিশ্বের অধিকাংশ দেশে চলে তা হল সপ্তাহে ৫ দিন ৮ ঘণ্টা করে কর্মদিবস। এই রীতি কিন্তু চালু হয়েছিল ১৯৩৮ সালে। কিন্তু তার বীজ বপন হয়েছিল ১৮১৭ সালে।
শিল্প বিপ্লবের সময় এমনও দেখা গেছে সপ্তাহে একজন শ্রমিককে ১০০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে হত। সে সময় থেকেই কাজের সময় কমানোর দাবি উঠতে শুরু করেছিল। তারপর এই দাবি বিভিন্ন সময়ে মাথাচাড়া দিয়েছে। কাজের সময় কমানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন কর্মীরা।
১৯২৬ সালে ফোর্ড মোটর সংস্থার মালিক হেনরি ফোর্ড একটি গবেষণা করে জানান সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ সঠিক। এতে কর্মীদের কাছ থেকে সবচেয়ে ভাল ও সবচেয়ে বেশি উৎপাদন পাওয়া যেতে পারে।
অবশেষে ১৮৩৮ সালে মার্কিন কংগ্রেস ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ড আইন বলবত করে। যেখানে বলা হয় কর্মীদের সর্বোচ্চ ৪৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করানো যাবে। তার ওপরে কাজ করালে কর্মীদের ওভারটাইমের জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে।
এর ২ বছর পর ১৯৪০ সালে মার্কিন মুলুকে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাও একেবারে আইন করে। তারপর সেই রীতি বহু দেশ গ্রহণ করে।