একটি গল্পের হাত ধরে কাজের ফাঁকে উষ্ণ চুমুক দিতে শিখে গেল বিশ্ব
একটি দিনের একটি ঘটনা। তারপর সেটাই চলতে থাকা। সেটাই গল্প হয়ে গেল। যা থেকে বিশ্ব শিখে ফেলল কাজের ফাঁকে উষ্ণ চুমুক।
এবার এক কাপ কফি না হলেই নয়। টানা কাজের পর এমন কথা তো প্রায়ই অনেকের মুখে শোনা যায়। বিভিন্ন অফিসে কর্মীদের জন্য কফির মেশিনও বসানো থাকে। প্রয়োজন হলে যাতে কাজের ফাঁকে কর্মীরা কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়াতে পারেন। ঝিমিয়ে পড়া শরীর মনকে তাজা করে নিতে পারেন।
এই কফি ব্রেক এখন বিশ্বজুড়ে প্রচলিত শব্দ। কফি ব্রেক উৎসবও হয় বিশ্বের এক প্রান্তে। আমেরিকার স্টটন শহরে প্রতিবছর পালিত হয় এই কফি ব্রেক উৎসব। বহু কফিপ্রেমী মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। স্টটন শহরেই এই উৎসব পালিত হওয়ার পিছনে কিন্তু একটা ইতিহাস রয়েছে।
কাহিনিটা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে ১৮০০ সালে। স্টটন শহরে তখন একটি সিগারেট তৈরির কারখানায় কাজ করতেন অনেক মহিলা।
সিগারেট তৈরির কারখানায় যথেষ্ট কাজের চাপ থাকত। তাই তাঁরা সেই চাপ মুক্তির জন্য ১৮০০ সালে সকলে মিলে একটা সিদ্ধান্ত নেন।
সকলে স্থির করেন প্রতিদিন কাজের ফাঁকে তাঁরা একটু সময় বার করবেন। সে সময় সকলে মিলে কফি খাবেন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে তাঁরা কিছুটা সময় নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবও করে নেবেন।
এতে তাঁরা নতুন করে কাজের উৎসাহ ফিরে পাবেন। মন দেবেন কাজে। এটাই প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে উঠল। ওই সিগারেট কারখানার মহিলা কর্মীরা প্রতিদিন কফি পানের জন্য কিছুটা সময় বার করে নিলেন।
সেই শুরু হল কফি ব্রেক সংস্কৃতি। যা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। যেহেতু স্টটন শহরেই সিগারেট সংস্থার মহিলা কর্মীদের হাত ধরে এই কফি ব্রেক সংস্কৃতি শুরু তাই এই শহরে এখনও প্রতিবছর বসে কফির বাৎসরিক উৎসব।