কাটাকুটি সারাতে একসময় চিকিৎসকদের মাকড়সার ভরসায় থাকতে হত
মাকড়সাই ছিল একমাত্র ভরসা। তাই তার দিকেই হাপিত্যেশ করে তাকিয়ে থাকতে হত। না হলে কাটা বা ঘা সারানো মুশকিল হত চিকিৎসকদের।
কেটেছরে তো মানুষের যায়। আবার তার চেয়েও বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ঘা হয়ে যায় দেহের নানা জায়গায়। তা শুকোতে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আনতে ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা। কাটা বা ঘা হওয়া অংশে মলম দেন শুকোনোর জন্য। প্রয়োজনে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন।
কিন্তু প্রাচীনকালে তো এত সুবিধা ছিলনা। কিন্তু তখনও যে চিকিৎসকেরা সমাজে ছিলেন। তাঁরা ক্ষত বা ঘা সারানোর জন্য গাছগাছড়ার রসের ওপর ভরসা রাখতেন। আর ভরসা করতেন মাকড়সার সাহায্যের ওপর।
প্রাচীন গ্রিস বা রোমে চিকিৎসকেরা ক্ষত সারানো বা ঘা সারানোর জন্য গাছের পাতা বা পাতার রস প্রয়োগ করতেন। তারপর সেই ক্ষতস্থান ঢেকে দিতেন ব্যান্ডেজ করে।
কিন্তু এখনকার মত তখন ব্যান্ডেজ তো ছিলনা। তাই তাঁরা ব্যান্ডেজের জন্য বেছে নিতেন মাকড়সার জালকে। মাকড়সা তাই জাল বুনলে চিকিৎসকেরা তা সংগ্রহ করতেন চিকিৎসার প্রয়োজনে।
মাকড়সার জালে অ্যান্টিসেপটিক ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। এছাড়া এতে থাকে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। যা ঘা বা ক্ষত সারাতে কার্যকরী হত।
আর মাকড়সার জালে থাকে ভিটামিন কে। ক্ষত বা কাটা দ্রুত শুকোনোটা জরুরি। ভিটামিন কে ঘা শুকোতে কার্যকরী। সে সময় দ্রুত ঘা শুকোনোর জন্য তাই মাকড়সার জালেই ভরসা করতেন চিকিৎসকেরা। সব মিলিয়ে গ্রিস বা রোমের চিকিৎসকদের কাছে মাকড়সার জাল ছিল পেশাগত কারণে প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয়।