রাতারাতি একটা শহর গোলাপি হয়ে গেল রাজার নির্দেশে
রাজ নির্দেশ তো মানতেই হবে। তাই হুকুম তামিল হয়েছিল। যার পিছনে ছিল অন্য কাহিনি। যা একটা শহরকে রাতারাতি গোলাপি করে দিয়েছিল।
সময়টা ১৮৭৬ সাল, খুব পুরনো দিনের কথা নয়। সে সময় ভারতে ইংরেজ শাসন। রাজস্থানের জয়পুরে অবশ্য তখনও খাতায় কলমে রাজা মহারাজা সোওয়াই রাম সিং। তিনি নির্দেশ দিলেন জয়পুর শহরটাকে গোলাপি করে ফেলতে হবে।
প্রত্যেক বাড়িতে সেই রাজ নির্দেশ পৌঁছে গেল। প্রত্যেকটি বাড়িকে একটিই রংয়ে সাজিয়ে ফেলতে হবে। আর তা হল গোলাপি রং।
গোলাপি রং দিয়ে শহরের প্রতিটি বাড়ি রং করে ফেলার নির্দেশ তামিলও হল। রাজ নির্দেশ অমান্য করার সাহস কারও নেই। ফলে সকলেই বাড়ির রং গোলাপি করে ফেলতে শুরু করলেন। দ্রুত বদলে গেল গোটা শহরটার ভোল। গোলাপি হয়ে গেল শহর। তবে এই রাজ নির্দেশের পিছনে একটা কারণও ছিল।
সে সময় প্রিন্স অফ ওয়েলস এবং ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার জয়পুর শহরে আসার কথা। সে খবর আগেই রাজার কাছে পৌঁছয়। তাই রানিকে খুশি করতেই রাজা এই নির্দেশ জারি করলেন।
ভিক্টোরিয়া নিজে না আসতে পারলেও তাঁর প্রতিনিধিরা যখন এলেন তখন দেখলেন জয়পুর শহরটা গোলাপি হয়ে গেছে। সেই থেকেই জয়পুরকে পিঙ্ক সিটি বা গোলাপি শহর বলে ডাকা হয়।
যদিও এখন জয়পুরে কিছু অন্য রংও নজর কাড়ে তবে তার গোলাপি শহরের তকমা এখনও বর্তমান। গোটা পৃথিবীই জয়পুরকে চেনে গোলাপি শহর বলে।
এটাও বলা হয় যে জয়পুরে রাজ নির্দেশের আগে থেকেও যে অট্টালিকা বা প্রাসাদ ছিল তাতে গোলাপি পাথরের ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতন। ফলে জয়পুরে গোলাপির প্রভাব তার আগেও ছিল।