পাড়ার দাদা, একটি লুপ্তপ্রায় প্রজাতি
ডিজিটাল যুগের মধ্যগগনে পাড়ার পাড়ায় দাদা হিসাবে তেমন কোনও প্রতিপত্তিশালী সম্প্রদায় আর রাজ করে না। বরং, পাড়ার দাদারা একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম।
এই গানটা আপনিও নিশ্চয়ই শুনেছেন, “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব, বলেছে পাড়ার দাদারা”। সে কারণে যাতায়াতের পাড়া বদলাতে হয়েছিল রঞ্জনার প্রেমিককে! কারণ পাড়ার দাদারা বিশেষভাবেই শক্তিমান। পাড়ার মেয়ের সঙ্গে এসব প্রেমপীরিত তাঁরা একেবারেই বরদাস্ত করেন না।
মা দুর্গার আবির্ভাবের ইতিহাস তো সকলেই জানি। দেবাসুরের সংগ্রামে দেবতারা যখন অসুর সৈন্যদের সঙ্গে কিছুতেই এঁটে উঠছিলেন না, সেই সময় দেবতারা তপস্যাবলে দেবী দুর্গার সৃষ্টি করেন। স্বর্গরাজ্যে দেবগণের অধিকার সুরক্ষিত রাখতেই দেবীর আবির্ভাব। পাড়ার দাদাদের আবির্ভাবের পেছনেও হয়ত তেমন সামাজিক কারণ ছিল। ছিল বলাই ভালো। কেননা ডিজিটাল যুগের মধ্যগগনে পাড়ার পাড়ায় দাদা হিসাবে তেমন কোনও প্রতিপত্তিশালী সম্প্রদায় আর রাজ করে না। বরং, পাড়ার দাদারা একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম।
এবার একটু দেখে নেওয়া যাক, ঠিক কারা পাড়ায় দাদাস্থানীয়ের ক্ষমতা বা মর্যাদা ভোগ করতেন। প্রথমত, ওঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পাড়ার বাসিন্দা সচ্চরিত্র যুবকগণ। সাধারণভাবে ওঁরা ছিলেন শ্বেতশুভ্র চরিত্রের মানুষজন। সেইসঙ্গে বেজায় পরোপকারিও বটে! মেঘ না চাইতে জলের মতো দারুণ প্রয়োজনের সময়, বিপদে-আপদে অথবা যে কোনও ধরনের দরকারি কাজে, যেমন গভীর রাতে পাড়ার কোনও বাসিন্দাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে কন্যাদায়গ্রস্ত দরিদ্র পিতার মেয়ের বিয়ের টাকার সংস্থানের জন্যে ছোটাছুটি করা, মরা পোড়ানো, বাজারঘাট করে দেওয়া ইস্তক বেপাড়ার ছেলেপুলেরা পাড়ায় ঢুকে কোনওরকম বাড়াবাড়ি করলে চিরদিনের মতো সেইসব বখা ছেলেদের পাড়ায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়ার মতো বুকের পাটা ছিল পাড়ার দাদাদের। তাছাড়া, পাড়ার অল্পবয়স্ক ছেলেপুলেদের মধ্যে কাউকে বদসঙ্গে মিশতে দেখলে বকাঝকা করার মতো গুরুতর দায়গুলি পাড়ার দাদাদের হাতেই ন্যস্ত করে নিশ্চিত থাকতেন বয়োজ্যেষ্ঠ অভিভাবকস্থানীয়েরা।
দেশ স্বাধীনতা লাভের আগেও বাংলার পাড়াজীবনে দিব্যি বেঁচেবর্তে ছিল সামাজিক আত্মীয়তার এই সংস্কৃতি। স্বাধীনতার পরেও টানা কয়েক দশক জুড়ে পাড়ায় পাড়ায় দাদারা তাঁদের মতো করে দিব্যি শাসনকার্য চালিয়েছেন। ওঁরা অনেকেই চাকরি-বাকরির ধার ধারতেন না। হাতখরচের সংস্থান করতে হয়তো নামমাত্র কোনও কাজ করতেন। বড়দা-মেজদার মতো করে সংসারে মোটা টাকা আয় গুণে দেওয়ার সামর্থ্যও ওঁদের ছিল না। আবার অনেকে ছিলেন তথাকথিতভাবে স্বল্পশিক্ষিত। অবশ্য তাতে কারওরই কিছু আসতযেত না। কেননা, পাড়াটিকে সুরক্ষিত করে রাখার নৈতিক দায়দায়িত্ব সেকালের ওই দাদারা স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এইটা করতেই তাঁদের যেন তৃপ্তি হত। এত সব সত্ত্বেও ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর অপবাদটা বরাবরই সইতে হয়েছে ওঁদের।
বাংলায় তো কোনওকালেই দাদার অভাব ছিল না। এখন যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদাগিরির এপিসোড দেখতে সন্ধ্যায় টেলিভিশনের সামনে গুণমুগ্ধরা হাট হয়ে বসে পড়েন – বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে তেমনই রয়েছে হাজারো দাদার লাখো কিসিমের রঙিন কীর্তিকলাপ। ঘনাদা, টেনিদা থেকে শুরু করে হালফিলের নীলুচন্দর বা নীললোহিত পাড়ার দাদা হিসাবে বলবার মতো এক একজন শিল্প নিদর্শন। আর একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় অমরত্ব লাভ করা এইসব দাদাদের কারওর হাতেই কিন্তু কাজকম্মর তেমন কোনও ঘটা ছিল না। ওঁরা সকলেই যেন খানিক ভবঘুরে স্বভাবের। সেইসঙ্গে একরোখাও। পকেটে টাকাপয়সা না থাকাটা ওঁদের কাছে যেন ছিল নিতান্ত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার মতো ব্যাপার। তার চেয়ে অনেক বড় ক্লাবের দেখভাল!
সে প্রসঙ্গ অন্য। জীবনরসিক বাংলা সাহিত্যের দাদাদের এত বিচিত্র উপায়ে রোমান্টিকতার স্বাদ নিতে দেখা যায় যে, ও নিয়ে আস্ত মহাভারত লেখা যেতে পারে। আসলে ষাট-সত্তরের দশকেও বাংলার জনজীবনে আজকের মতো প্রযুক্তির এত রমরমা ছিল না। টিভি ঢুকেছে অনেক পরে। তখন সব বাড়িতে টেলিফোন সেটও ছিল না। রান্না করা হত উনুনে, কাঠকয়লায়। আস্তে আস্তে টিভি এল, অন্দরমহলে গ্যাস সিলিন্ডার ঢুকল, ওয়াশিং মেশিনে কাপড় কাচাকুচির পর্ব এল। ফলে অন্দরমহলটা বদলাল। এরপর নব্বই দশকে বিশ্বায়নের প্রভাবে ক্রমশ আধুনিক প্রযুক্তি এমন এক বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলল যে, বাংলার নিস্তরঙ্গ জনজীবনে জোয়ারের জলের মতো হু হু করে ঢুকে পড়ল অজস্র ব্যস্ততা। এখন তো প্রায় সকলেই দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা সময় ব্যস্ত থাকেন ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে কিংবা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ে। এ সবের পিছনে সারা দিনের বেশ খানিকটা সময় খরচ না করেও উপায় নেই। সময়ের চাহিদা! চান বা নাই চান, কানু বিনে গীত নাই!
এই পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে কত কিছুই তো হারিয়ে গিয়েছে। অতিকায় ডাইনোসরগুলি পৃথিবী থেকে যেমন চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে। আমাদের আদিম পূর্বপুরুষের ল্যাজগুলিও খসে গিয়েছে সেই কবেই – এভাবে মানুষের সমাজ, সভ্যতা কতই না ভাঙাগড়ার ভিতর দিয়ে বহমান স্রোতের মতো বয়ে চলেছে।
তেমনই পাড়ার দাদারা। পাড়ায় পাড়ায় সেদিনের সেই দাদাদের রাজত্ব আর নেই। এ কালে যেমন মাগনায় কেউ কারও উপকারে লাগতে চান না। কেউ কারও উপকারও তেমন যেচে নিতে যান না। যুগ চলতি বেঁচে থাকার পলিসি হল, গিভ অ্যান্ড টেক। কিংবা, যে যার সে তার! ষাট কিংবা সত্তর দশকেও নিজের ব্যক্তিগত স্বভাবচরিত্র, ত্যাগব্রত কিংবা পরোপকারের খিদে মেটাতে যে মানুষগুলি পাড়ায় পাড়ায় দাদা হিসাবে বিশেষ সমাদর বা সুখ্যাতি লাভ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন বার্ধক্যের কোঠায়। পাড়ায় কিশোর-কিশোরীদের চরিত্রগঠনের জন্যে সেদিনের দাদারা অনেকে দায়বদ্ধ ছিলেন। কোনও দাদা হয়তো পাড়ায় সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকর্মের ডাকাবুকো উদ্যোক্তা ছিলেন। কেউ কেউ ছোট ছেলেমেয়েদের ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ভলিবল, বাস্কেটবলের প্রশিক্ষণ দিতেন। সেসব পাটও চুকে গিয়েছে। গোটা সমাজ বিশ্বায়নের দাপটে আচমকা ওলটপালট খেয়েছে। পুরনো আমলের মানুষজনকে সেই ধাক্কা সামলাতে যথেষ্ট বেগও পেতে হয়েছে।
কবি মুখার্জি মানুষটি এখনও বেশ ডাকাবুকো ধরণের। একসময় কলকাতা ময়দানে ফার্স্ট ডিভিশন ক্লাবের ফুটবলার ছিলেন। খেলাধুলো ভালোবাসেন। অকৃতদার মানুষটি জীবনে কখনও মদ, সিগারেট ছুঁয়েও দেখেননি। ষাটের দশকে পাড়ায় স্বেচ্ছাসেবা চালাতেন কবিদা। স্বেচ্ছাসেবা বলতে বিনি পয়সায় পরোপকার।
কবিদার আক্ষেপ এ যুগে যেচে মানুষের উপকার করতে যাওয়াও বেশ ভয়ের ব্যাপার। আজকাল তো কেউ কাউকে মানছেই না! পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছেলেমেয়ে দিনেদুপুরে ন্যক্কারজনক আচরণ করছে। সহ্য করতে না পেরে হয়তো বকাঝকা করে ফেললাম। এজন্য পরে বিপদে পড়তে হতে পারে!
উদাহরণ দিতে গিয়ে কবিদা জানালেন, কিছুদিন আগেই দুপুরবেলায় বেপাড়ার একটি বখা ছোঁড়া তাঁদের পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে অভব্যতা করছিল। ছেলেটাকে বকায় তার পাল্টা প্রশ্ন ছিল, আপনার তাতে কি?
শুনে কবিদার মাথাটা গরম হয়ে গেল। এদিকে ছেলেটা ভয়ানক তক্কোবাজ। সেও নাছোড় ঝগড়া লাগিয়ে দিল! কবিদার দাবি, বিষাক্ত এক ধরনের রাজনীতি গোটা সমাজটার সর্বনাশ করে ফেলছে। বাম আমল থেকেই সবকিছুর রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে বলে মনে করেন কবিদা। আর এখন অন্যায় যে করছে, তাকে শাসন করতে গেলেই সে কোনও একটা দল দেখিয়ে দেবে। তাই, কাউকেই তিনি এখন আর কিছু বলেন না। এই বলে, অভিমানে মানুষটা বেশ খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন।
পুরনো কালের পাড়ার দাদাদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করা যুবকের সংখ্যা ছিল নগণ্য। বরং, তাঁরা ছিলেন পুরোদস্তরভাবে সামাজিক। এমনই এক পাড়ার দাদা ছিলেন বিষ্ণুপদ পাল। গরিবের মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করা থেকে শুরু করে পাড়ার নর্দমা পরিস্কার না করা হলে ছুটোছুটি করার নির্ভরযোগ্য লোক ছিলেন তিনি। যে এলাকায় থাকতেন, সেখানকার মানুষজন তাঁকে দাদা বলে মানতেনও। ভালোও বাসতেন। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পরে শেষযাত্রায় স্থানীয় বাসিন্দা হাজার হাজার মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। মানুষটি অকৃতদার ছিলেন। রক্তের সম্পর্ক নেই, এমন বহু মানুষের সঙ্গে বিষ্ণুপদ ওরফে বিষ্টুদার ছিল হৃদয়ের সম্পর্ক।
এখনও এলাকার মানুষজনের স্মৃতিতে ভেসে বেড়ায় বিষ্টুদার পরোপকারের কাহিনি। যেমন, একবার এক ভদ্রলোক বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে চলন্ত বাসে উঠতে যাওয়ার সময় ওষুধপত্রের বোতলগুলি ওঁর হাত থেকে পড়ে ভেঙে যায়। লোকটা হাহাকার করে উঠেছিল। কেননা, দ্বিতীয়বার ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য তাঁর ছিল না। বিষ্টুদা সেই সময় কাছেপিঠে কোথাও ছিলেন। ঘটনাটা দেখেছিলেন। দেখেছিলেন ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোকটার হাহাকার। সেসময়ে বিষ্টুদার পকেটে কিছু টাকা ছিল। ওই টাকা দিয়ে বিনা বাক্যব্যয়ে সেই মানুষটিকে ফের সমস্ত ওষুধপত্র কিনে দিলেন। এখনও পাড়ার বয়োবৃদ্ধরা মেনে নেন, বিষ্টু ছিল পাড়ার পরোপকারী ছেলে।
নব্বইয়ের দশকে যখন বিশ্বায়ন আর খোলা বাজারের হাতছানিতে মানুষজন নিজের স্বরূপ ভুলতে শুরু করল। ক্রমশ কেরিয়ারের ইঁদুর দৌড়ে পাড়া সংস্কৃতিটাই বঙ্গ জীবন থেকে হারাতে শুরু করল। সেইসময় থেকেই মনোজগতের কার্যকারণ সম্পর্কগুলি অতিদ্রুত পাল্টাতে থাকে। মানুষ যত নিঃসঙ্গ হতে থাকল, ততই কানের কাছে পুরনো কাটা রেকর্ডের মতো লাগাতারভাবে যা বাজছে, তার সারমর্ম হল – ভেবে দেখ মন কেউ কারু নয়, মিছে ভ্রম ভূ-মণ্ডলে।
এভাবে আমরা প্রায় সকলেই নিজের নিজের জন্যে একটা না একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের খোঁজে মরিয়া। আর আমি সেখানে একাই রাজা, আবার আমি একাই সেখানে প্রজা! সমাজ জীবনে অতর্কিতে হানাদারি করা এই নিঃসঙ্গতা এখন প্রায় অসুখের চেহারা নিয়েছে। বাঙালি আড্ডাপ্রিয়। বাঙালির বরাবরের পছন্দের বেলা অলসবেলা।
কিছুদিন আগে বাসে একজন দাদাস্থানীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা। কথায় কথায় দুঃখ করে তিনি বললেন, দিনকাল পাল্টে গিয়েছে ভাই। যে পাড়ায় থাকি কখনও মাঝরাত্তিরে সেখানকার কোনও বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশে দাঁড়ানোর মতো লোকের বড় অভাব। অথচ আমাদের সময় গোটা ব্যাপারটা ছিল অন্যরকম। মানুষের আপদে-বিপদে একডাকে পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষের কমতি ছিল না। আমি নিজেই তো রাতবিরেতে কতবার মরা পুড়িয়ে এসেছি।
জানতে চাই, সেকালে আপনিও কি পাড়ায় দাদাগিরি করেছেন?
ভদ্রলোক বললেন, সে কালে উঠতি বয়সের ছেলেদের মধ্যে অনেকেরই পরোপকারের নেশা ছিল। বলতে পার ওটুকুই সে যুগের দাদাদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। পরে রাজনীতি গোটা সমাজটাকেই গ্রাস করে নিল। রাজনীতির সঙ্গে সংস্রব নেই, এমন মানুষের হাত থেকে সামাজিক ক্ষমতা হারিয়ে গেল। ইদানিং তো উঠতে বসতেও রাজনীতি। সবার আগে জানাতে হবে, তুমি কোন দলে? দল যদি দশে মিলি কাজের সত্যিকারের দৃষ্টান্ত হত, তা হলে বলবার আর কিছুই থাকে না। তাহলে হয়তো সেদিনের দাদারা শেষ বয়সে অভিমানাহত হয়ে জীবন কাটাতেন না।
পাড়ার এক পুরনো দিনের দাদাকে কেউ কুশল সংবাদ জিজ্ঞেস করলেই তিনি বলেন, এবার যেতে পারলে বাঁচিরে। পৃথিবীতে অনেক দিন থাকা হল। এবার ওপরওয়ালা যত শীঘ্র শমন পাঠাবেন ততই ভালো। বাঁচি আর কী!
কিন্তু মৃত্যু তো নিয়তি নির্দিষ্ট। কে কবে মারা যাবেন, তা কি কখনও পাঁজি মিলিয়ে বলা যায় নাকি? তাও গড়পড়তা হিসাব একটা থাকে। সেই অনুযায়ী, সে কালের পাড়ার দাদারা হয়তো এই ধরাধামে সশরীরে বসবাস করবেন বড়জোর আরও কয়েক বছর। এরপর চিরকালের মতো তাঁরাও বিদায় নেবেন ঘুমের দেশে। জীবনের উপান্তে পৌঁছনো এইসব মানুষগুলির পিছু টান বলতে এখন শুধুই ফেলে আসা জীবনের স্মৃতি। — চিত্রণ – বিশ্বজিৎ