ভয়ে এই নদীর জল ছুঁতে চান না মানুষজন
এ দেশেই রয়েছে এমন এক নদী যার জল মানুষ ভয়ে ছুঁয়ে দেখতে চান না। অথচ টলটলে তার জল। যা গিয়ে মিশেছে বিরাট এক নদীর সঙ্গে।
নদী বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই সভ্যতার পথচলার অন্যতম শর্ত। কারণ নদীকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় জনপদ। নদীর আশপাশেই মানুষ তার বসতি নির্মাণ করে। নদীর জল তাদের বেঁচে থাকার প্রধান ভরসা।
শুধু পানীয় বলেই নয়, আশপাশের এলাকার সব কাজে, চাষাবাদে নদীর জল একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। তাই নদীর জল প্রয়োজনের হাত ধরেই পবিত্র রূপ নেয়।
অথচ ভারতেই এমন এক নদী রয়েছে যার নামেই মানুষ ভয় পান। যার জল ছুঁতে ভয় পান। ব্যবহার তো দূরের কথা! মানুষের বিশ্বাস এ নদীর জল ছোঁয়া মানে কাজ পণ্ড হওয়া।
বিহারের কাইমুর জেলায় এই নদী জন্ম নিয়েছে। তারপর বয়ে গেছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গা বেয়ে। এরপর উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করে গাজিপুরের কাছে নদীটি গঙ্গার সঙ্গে গিয়ে মিশেছে। নদীটির নাম কর্মনাশা নদী। নামেই লুকিয়ে আছে এর জল ব্যবহারে মানুষের অনীহার কারণ।
কথিত আছে বিশ্বামিত্র মুনি এক নতুন পৃথিবীর জন্ম দেন। সেই স্থান পরিচালনা করতে তিনি ত্রিশঙ্কুকে পাঠাচ্ছিলেন। কিন্তু এই নতুন পৃথিবী নিয়ে দেবরাজ ইন্দ্রের আপত্তি ছিল।
তাই ত্রিশঙ্কু যখন বিশ্বামিত্র মুনির নতুন পৃথিবীর দিকে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে মাঝপথে ধরে তাঁর মাথা নিচের দিকে করে দেন দেবরাজ ইন্দ্র। তার ফলে ত্রিশঙ্কুর মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে নিচে পড়তে থাকে। কথিত আছে সেই লালারস থেকেই এই কর্মনাশা নদীর উৎপত্তি।