একটা সময় পায়রাই ছিল খবর বা চিঠি পৌঁছনোর মাধ্যম, কিন্তু পায়রাই কেন
পায়রা যে চিঠি নিয়ে উড়ে যেত গন্তব্যে তা তো সকলের জানা। কিন্তু কেন কেবল পায়রাকেই একাজে লাগানো হত? তার পিছনেও রয়েছে কারণ।
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বিজয় বা পরাজয়ের বার্তা রাজপ্রাসাদে পৌঁছে দেওয়াই হোক বা কোনও সাধারণ চিঠি পৌঁছে দেওয়াই হোক, কাজটা একসময় আকাশপথেই হত। আর তা করত পায়রা।
পায়রার পায়ে বাঁধা বার্তা পৌঁছে যেত গন্তব্যে। কিন্তু আরও তো অনেক পাখি রয়েছে। তারা পোষও মানে। সেক্ষেত্রে তাদেরও তো এ কাজে লাগানো যেত! কেন লাগানো হতনা? কেন কেবল পায়রাতেই ভরসা রাখা হত? এর পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ।
মনে করা হয় মিশরেই প্রথম চালু হয়েছিল পায়রা দিয়ে বার্তা পৌঁছনোর কাজ। ৩ হাজার বছর আগে এই পায়রাকে কাজে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
পরবর্তীকালে এই পন্থা ভারতেও পৌঁছয়। এখানেও রাজা বাদশাহদের পায়রা ছিল বার্তা প্রেরণের উপায়। পায়রাকেই সর্বত্র এই কাজে লাগানোর কারণ ছিল তাদের সঠিক জায়গায় ঠিক উড়তে উড়তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা।
পায়রা ঠিক চিনে পৌঁছতে পারে গন্তব্যে। এমনও যদি করা হয় যে তাদের কোনও জায়গা থেকে খাঁচায় করে নিয়ে আসা হল অন্যত্র এবং সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হল, পায়রা ঠিক চিনে তাকে যেখান থেকে আনা হয়েছিল সেখানে ফিরে যাবে।
পায়রার এই দিক চেনার ক্ষমতাকেই কাজে লাগান তখনকার মানুষজন। পায়রা দিয়ে চিঠি বা বার্তা পৌঁছনো শুরু হয়। আর সে কাজে পায়রা কখনও ভুল করতনা।