অর্থবর্ষ ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ
বছর শেষ হয় ডিসেম্বর মাসে আর অর্থবর্ষ শেষ হয় ৩১ মার্চ কেন? এর পিছনে কিন্তু একাধিক কারণ রয়েছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অর্থবর্ষ মেনে চলা হয়। ভারতে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত হয় একটি অর্থবর্ষ। সেই অনুযায়ী যাবতীয় হিসাব নিকাশ হয়। কিন্তু ভারতে ৩১ মার্চই কেন অর্থবর্ষ শেষ হয়? এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন।
ভারতে দীর্ঘদিন ব্রিটিশ শাসন থেকেছে। ব্রিটেন কিন্তু ৩১ মার্চকেই অর্থবর্ষ শেষ হিসাবে ধরে এগোয়। ফলে সেই অভ্যাস স্বাধীনতার পরও বজায় থেকেছে।
প্রসঙ্গত ভারতের মত ব্রিটেন, জাপান, কানাডার মত দেশগুলিতেও ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ একটি অর্থবর্ষ। আরও যে কারণ ভারতে ৩১ মার্চ অর্থবর্ষ শেষের কারণ হিসাবে মনে করা হয় সেটি হল কৃষি।
ভারত কৃষি প্রধান দেশ হওয়ায় তার সিংহভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। ফেব্রুয়ারি মার্চে ফসল ঘরে তোলার পর তাঁরা সারা বছরের হিসাব নিকাশ করতে পারেন।
লাভ ক্ষতির অঙ্ক খতিয়ে দেখতে পারেন কৃষিজীবী মানুষরা। এতে সরকারের পক্ষেও যাবতীয় হিসাব পেতে সুবিধা হয়। তাই কৃষিনির্ভর অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে ৩১ মার্চ অর্থবর্ষ শেষ হয়।
এছাড়াও একটি কারণ অনেকে মনে করেন এই অর্থবর্ষ মেনে চলার। সেটি হল ভারতে যাবতীয় বড় উৎসব পালিত হয় অক্টোবর, নভেম্বরে। ডিসেম্বরের শেষেও থাকে বর্ষবরণ বা বড়দিন।
সব মিলিয়ে দোকানগুলি বিক্রি নিয়ে এই মাসগুলিতে ব্যস্ত থাকে। বিক্রিতে মন দেয় তারা। ফলে তাদের পক্ষে সারা বছরের হিসাবে অতটা সময় দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে ৩১ মার্চ অর্থবর্ষ শেষ করা হয়ে থাকতে পারে।