বিয়ারের বোতলের রং খয়েরি বা সবুজই হয় কেন, কারণটা চমকে দেওয়ার মত
বিয়ারের বোতলের রং খয়েরি বা সবুজই হয় কেন? কেন অন্য কোনও রংয়ের হয়না? এর কারণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে কেউ।
বিয়ার পান যাঁরা করে থাকেন তাঁরা বিয়ারের বোতল কেনার সময় এটা দেখে থাকবেন যে তা খয়েরি বা সবুজ রংয়ের হয়। অন্য কোনও রংয়ের বিয়ারের বোতল পাওয়া যায়না।
সারা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই কিন্তু এই ২ রং ছাড়া বিয়ারের বোতল হয়না। কিন্তু বিয়ারের বোতলের রং কেবল খয়েরি বা সবুজই হয় কেন এটা হয়তো অনেকেই ভেবে দেখেননা।
বিয়ার কিন্তু একটা সময় সাদা বোতলেই বিক্রি হত। কিন্তু বিয়ার তৈরির সংস্থাগুলি লক্ষ্য করে যে বিয়ারের বিক্রি কমছে। কেন খতিয়ে দেখতে গিয়ে তারা দেখে যে বিয়ারের স্বাদে তারতম্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে তা ভাল লাগছে না বিয়ার পানে অভ্যস্তদের।
কেন এমন হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিশেষজ্ঞেরা দেখেন বিয়ারে থাকা অ্যাসিডের সঙ্গে সূর্যের আলোর রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে। স্বচ্ছ বোতল হওয়ায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সহজেই বোতলবন্দি তরলের সংস্পর্শে আসছে। আর তা থেকে বিক্রিয়া হয়ে বিয়ারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এমন কিছু হওয়া থেকে রেহাই পেতে রোদ চশমার যুক্তিকে কাজে লাগায় সংস্থাগুলি। রোদ চশমা সাধারণভাবে খয়েরির নানা শেডে হয়ে থাকে। তাই খয়েরি রংয়ের বোতল তৈরি করা হয়। তার ভিতরে তরল বিয়ারে সূর্যের রশ্মি প্রবেশ করতে পারছে না বলে দেখা যায়। ফলে বিয়ার দীর্ঘ সময় ভাল থাকছে। নষ্ট হচ্ছেনা। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর বিয়ারের বোতল বিশ্বজুড়ে খয়েরি হয়ে যায়।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খয়েরি বোতলে টান পড়ে। এতটাই টান পড়ে যে খয়েরি বিয়ারের বোতল সংস্থাগুলি অর্ডার দিলেও পাচ্ছিল না। ফলে তারা সবুজ বোতলে বিয়ার বিক্রি শুরু করে।
সবুজ বোতল খয়েরির মত অতটা কার্যকরী না হলেও ইউরোপ জুড়ে সবুজ বোতলে বিয়ার অন্য এক মাত্রা যোগ করে। অচিরেই নামী সংস্থার বিয়ারের সবুজ বোতল একটা সামাজিক মর্যাদার বিষয় হয়ে ওঠে। সবুজ বোতলে বিয়ার সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে।
তারপর থেকে এখনও খয়েরি বা সবুজ বোতলেই বিয়ার বিক্রি হয় বিশ্বজুড়ে। প্রসঙ্গত নীলকণ্ঠ ডট ইন বিয়ার বা অন্য কোনও রকম মদ্যপানকে সমর্থন করেনা। তার প্রচার করেনা। মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।