বোতাম ছাড়া পোশাক কষ্টকল্পনা, এই বোতাম ব্যবহার শেখাল কে
জামায় বোতাম না থাকলে খুব সমস্যা। বোতাম ছাড়া জামা ভাবাই যায়না। কিন্তু এই বোতাম পৃথিবীকে চিনিয়েছে এই দেশের মাটিই।
জামায় বোতাম নেই, প্যান্টে বোতাম নেই। ভাবা যায়? ভাবলেই অনেকে শিউরে ওঠতে পারেন। লজ্জাও পেতে পারেন। কিন্তু এই বোতামের কথা মানুষ জানল কীভাবে? কারা চেনাল এমন এক আপাত অবহেলিত কিন্তু অতি আবশ্যিক বস্তুটিকে?
এখানেও কিন্তু এই ভারতের মাটির এক বড় অবদান রয়েছে। যদিও তখন সেভাবে ভারত বলে আলাদা কিছু ছিলনা। যা ছিল তা সিন্ধু সভ্যতা। সিন্ধু নদের ধারে গড়ে ওঠা পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক সভ্যতা। যার আধুনিকতা আজও চর্চার বিষয়।
হরপ্পার নগর পরিকল্পনা এখনও তাক লাগিয়ে দেয় বিশ্ববাসীকে। সেই সিন্ধু সভ্যতার দান বোতাম। তার আগে বোতামের ব্যবহার মানুষের জানা ছিলনা। সিন্ধু সভ্যতাই প্রথম চেনায় বোতাম নামক বস্তুটিকে। দেখায় এটির ব্যবহারিক গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।
সিন্ধু সভ্যতায় বোতামের ব্যবহার শুরু হয়। সেই বোতাম তৈরি হত সমুদ্রের শামুক, ঝিনুকের খোল থেকে। অন্য কোনও বস্তু দিয়ে বোতাম তৈরি তখন হতনা।
এইসব শামুক, ঝিনুকের খোলে ফুটো করে তাতে ঘর করে তৈরি হত বোতাম। যা হয়তো আধুনিক বোতামের মত সুদৃশ্য বা এতটা সুন্দর আকারের ছিলনা।
তবে আবিষ্কারের হাজার হাজার বছর পরেও গুরুত্বের দিক থেকে অপরিসীমই রয়ে গেছে সিন্ধু সভ্যতার এই দান। যা সভ্যতার অগ্রগতিতেও এক বড় অবদান রেখে গেছে এবং রেখে চলেছে। তাই আজও বোতাম প্রাসঙ্গিক, প্রয়োজনীয়।