দেশের রূপোলী শহর হিসাবে পরিচিত সকলের চেনা এই স্থান
দেশের রূপোলী শহর কিন্তু অত্যন্ত পরিচিত একটি শহর। যা এক ডাকে চেনেন এ দেশের প্রায় সকলেই। রূপোলী শহর তকমা পাওয়ারও কারণ রয়েছে।
ভারতের জয়পুর যেমন গোলাপি শহর হিসাবে পরিচিত, জয়সলমীর যেমন হলুদ শহর হিসাবে পরিচিত, তেমনই রূপোলী শহর হিসাবে পরিচিত ভারতের এক অতিপরিচিত শহর। যার সঙ্গে বাংলার এক বীর সন্তানের নাম জড়িয়ে আছে।
শহরটির অনেকগুলি বিশেষত্বের একটি হল তার রূপোর ওপর সূক্ষ্ম কারুকাজ। রূপোর অতিসূক্ষ্ম ও অপরূপ কারুকাজের জন্য এ শহরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।
রূপো দিয়ে গাছের পাতা থেকে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, গয়না থেকে ঘর সাজাবার সামগ্রি, রূপোর এই নিখুঁত কাজের জন্যই কটক বিখ্যাত। তাই ওড়িশার এই শহরকে বলা হয় সিলভার সিটি অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের রূপোলী শহর।
সরু সরু রূপোর তার দিয়ে এখানে শিল্পীরা কঠিন পরিশ্রমে তৈরি করেন চোখ জুড়িয়ে দেওয়া সব কারুকাজ। যা ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে সমাদৃত। কটকের রূপোর কাজের নামডাকের জন্য এই শহর অচিরেই হয়ে গেছে ভারতের রূপোলী শহর।
কটক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান। বাংলা লাগোয়া ওড়িশার কটক খুব দূরেও নয়। কটক এমন এক জায়গা যেখানে দেখার জিনিস কম নেই।
এখানেই রয়েছে বারাবটি দুর্গ। রয়েছে নেতাজির জন্মস্থানকে সামনে রেখে একটি মিউজিয়াম। কাঠজোড়ি নদীর ধারে স্বরাজ্য আশ্রম। রয়েছে কটকচণ্ডী মন্দির। বহু মানুষ এই মন্দিরে প্রতিবছর হাজির হন।
ওড়িশার এক সময়ের রাজধানী ছিল কটক। পরে তা স্থানান্তরিত হয় ভুবনেশ্বরে। এখনও কটক কিন্তু ওড়িশার এক অন্যতম প্রধান শহর।