মুখ দেখাদেখি বন্ধ, পাখিদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েই চলেছে
পাখিদের যে সম্পর্কে চিড় ধরে, তাদেরও যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাকে, তা হয়তো শুনে অবাক হতে পারেন। কিন্তু পাখিদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েই চলেছে।
একটি পুরুষ পাখি ও একটি স্ত্রী পাখির মধ্যে যেমন সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়, তেমন নানা কারণে অশান্তিও হয়। যেমন মানুষের বৈবাহিক জীবনে হয়ে থাকে অনেকটা তেমনই। অশান্তির কারণগুলোও অনেকটা মানুষের মতই।
এখানে বলে রাখা ভাল যে পাখিরা কিন্তু এক মরসুমে একজন সঙ্গীর সঙ্গেই একসঙ্গে থাকে। একসঙ্গে মিলন করে। একাধিক পুরুষ বা স্ত্রী পাখির সঙ্গে মিলন একই মরসুমে তো তারা করেই না, সেই সময় ওই পুরুষ ও স্ত্রী পাখি কার্যত সংসার পাতে।
কিন্তু সেই সংসারে ভাঙনও ধরে। আর তার কারণ লুকিয়ে থাকে ২ জনের মধ্যে ভালবাসার অভাব হলে। অবাক হওয়ার মত শোনালেও এটাই ঘটে। আর তা ইদানিংকালে খুবই বেড়েছে পাখিদের মধ্যে। পাখিদের মধ্যে ডিভোর্স বাড়ার কারণ এক গবেষণায় অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ২টি পাখি যখন একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে, একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। মিলনও করে। তখন কেউ যদি বিশ্বাসভঙ্গের মত কিছু করে তখন ভাঙন তৈরি হয়।
যদি দেখা যায় স্ত্রী বা পুরুষ কোনও একটি পাখি অপরজনকে লুকিয়ে অন্য লিঙ্গের পাখির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। অর্থাৎ একটি স্ত্রী পাখি যদি অন্য কোনও পুরুষ পাখির সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে বা উল্টোটা মানে কোনও পুরুষ পাখি যদি আরও স্ত্রী পাখিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে তখন তাদের সংসারে ভাঙন হয়।
অনেক সময় পাখিদের জীবনের রীতি না মানতে চাইলেও ২ জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। আর এসব কারণে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়।
একে অপরের মুখ দেখে না তারা। একসঙ্গে থাকা তো দূরের কথা। আর এই বিবাহবিচ্ছেদ বেড়েই চলেছে পাখিদের মধ্যে। অন্তত সাম্প্রতিক গবেষণা তাই বলছে।