দেশের শেষ রাস্তা কোনটি, উত্তরটা খুব শক্ত নয়
এদেশের শেষ রাস্তা কোনটা। প্রশ্নটা কৌতূহল তৈরি করতেই পারে। উত্তরটাও যে একেবারেই অজানা তা কিন্তু নয়। অনেকেই জায়গাটার নাম জানেন।
ভারত জুড়ে হাজারো রাস্তা ছড়িয়ে রয়েছে। এককথায় অগুন্তি। কিন্তু ভারতের শেষ রাস্তা কোনটি? এমন এক প্রশ্ন কিছুটা হলেও থমকে দিতে পারে। ভারতের শেষ সড়কপথ হিসাবে চিহ্নিত রাস্তা কিন্তু রয়েছে। যে জায়গার নাম বললে প্রায় সকলেই চিনতেও পারবেন। এতটাই পরিচিতি রয়েছে সেই এলাকার।
ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে রামেশ্বর নামে একটি জায়গা রয়েছে। যা প্রায় সকলের চেনা নাম। কেউ সেখানে গেছেন, কেউ হয়তো যাননি। কিন্তু নামটা চেনা।
এই রামেশ্বর থেকে একটি রাস্তা চলে গেছে সমুদ্রের জলের মাঝখান দিয়ে। রাস্তার ২ ধারে বালুকাবেলা। তার মাঝখান দিয়ে রাস্তা চলেছে গেছে।
একটা জায়গায় গিয়ে সেই রাস্তা শেষ হয়েছে। আর যেখানে শেষ হয়েছে তার সামনে আশপাশে সর্বত্র উত্তাল সমুদ্র। এই জায়গার নাম ধনুষ্কোটি।
কথিত আছে ধনুষ্কোটি সেই জায়গা যেখানে ভগবান শ্রীরাম হাজির হয়ে ভগবান হনুমানকে নির্দেশ দেন এখান থেকে লঙ্কা পর্যন্ত সমুদ্র পথে পাথর ফেলে রাস্তা তৈরি করতে। যাতে তিনি সেনা নিয়ে সেখানে পৌঁছতে পারেন।
ধনুষ্কোটি থেকে শ্রীলঙ্কা কিন্তু সামান্য পথ। পুরোটা জলপথে পার হতে হলেও এই জলপথ মাত্র ০ কিলোমিটারের। যা পার করতে জলযানে বেশি সময় লাগেনা।
বলা হয় ধনুষ্কোটির সড়ক হল সেই সড়কপথ যা দেশের শেষ সড়ক। এখানেই শেষ ভারতের সীমা। তারপর জলপথে একটু গেলেই শ্রীলঙ্কা।