এ গ্রামে বাদুড়কে পুজো করা হয়, গ্রামে বাদুড়দের যত্ন নেন গ্রামবাসীরা
এ দেশেই এমন এক গ্রাম রয়েছে যে গ্রামে বাদুড়কে দেবতার আসনে বসানো হয়। বাদুড়দের এ গ্রামে কদরই আলাদা। যথেষ্ট যত্ন পায় তারা।
রক্তশোষা প্রাণি হিসাবেই বাদুড়ের পরিচিতি। রাতের অন্ধকারে কার্যত বাদুড় এক বিভীষিকার নাম। বাদুড় প্রাণি জগতের একটি অংশ হলেও তাদের নিয়ে মানুষের ভালবাসা বিশেষ নেই। বরং মানুষ এড়িয়ে চলেন বাদুড়কে। কিন্তু ভারতের একটি গ্রামে এই বাদুড়ই সবচেয়ে যত্ন পাওয়া প্রাণি।
তারা যাতে নিশ্চিন্তে সেখানকার গাছে গাছে থাকতে পারে তা নিশ্চিত করেন গ্রামবাসীরাই। এমনকি বাদুড়দের দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন তাঁরা। গ্রামে কোনও পুজো অর্চনা বাদুড় ছাড়া হয়না। এ গ্রামের মানুষ বাদুড় বলতে অজ্ঞান। একটাও বাদুড়ের ক্ষতি তাঁরা মেনে নেবেন না।
বিহারের বৈশালী জেলার সরসাই গ্রাম হল সেই গ্রাম যেখানে বাদুড়ের মর্যাদা প্রশ্নাতীত। গ্রামের মাঝেই রয়েছে একটি বিশাল দিঘি। যা কোনও এক সময়ে খনন করা হয়েছিল। সেই দিঘির জলের চারধারে প্রচুর বড় বড় গাছ রয়েছে।
সেইসব বৃক্ষ কার্যত বাদুড়ে ভর্তি। বাদুড়রা এখানে বংশবৃদ্ধি করেই চলেছে। আবার গ্রামের এই বাদুড়দের দেখতে অনেক পর্যটক এই গ্রামে হাজির হন।
এখানকার মানুষের দাবি, গ্রামের বাইরের কেউ যদি বাদুড়দের গাছের কাছ দিয়ে যান তাহলে বাদুড়গুলি আওয়াজ করে গ্রামবাসীদের জানান দেয় অচেনা কেউই গ্রামে ঢুকেছে। কিন্তু এই চিৎকার তারা গ্রামবাসীরা গেলে করেনা।
গ্রামের মানুষের কোনও ক্ষতিও করেনা এই বাদুড়রা। এই গ্রামে কোনও এক সময়ে এক মহামারী হাহাকার ফেলে দিয়েছিল। সেই মহামারীর পরই এই গ্রামে বাদুড়ের আগমন শুরু হয়। গ্রামবাসীদের দাবি তারপর থেকে এই গ্রামে কখনও কোনও মহামারীর প্রকোপ আসেনি।