এ গ্রামে গরিব নেই, কোটিপতিদের গ্রামে শুধুই বড়লোকদের বাস
শহরে ধনী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। গ্রাম মানে দারিদ্র থাকবে। এমন এক প্রচলিত ধারনার বাইরে গিয়ে দেশের এই গ্রাম কোটিপতিদের গ্রাম হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছে।
গ্রাম কথাটা মাথায় এলেই এক প্রকৃতি ঘেরা সুন্দর সবুজ পরিবেশ চোখের সামনে ফুটে ওঠে। আর ফুটে ওঠে কৃষক, ছোট ছোট কুঁড়েঘর বা টালির চালের একতলা বাড়ি। গ্রামে কিছু মানুষ অনেক জমি থাকার জেরে অর্থবান হতে পারেন, তবে ভারতে গ্রামে থাকা মানুষজনের অনেকেই নিম্নবিত্ত বা দরিদ্রও হন।
বিশেষত কৃষকদের অনেকে অনেক ধনসম্পদের মালিক হন না। সহজ কথায় শহরে কোটিপতি মানুষ, ধনী মানুষের ভিড় নজর কাড়তে পারে, কিন্তু গ্রামে তা হয়না। কিন্তু এই ভারতেই একটি গ্রাম এমনও রয়েছে যেখানে কোটিপতি ভর্তি। গ্রামের কেউই দরিদ্র নন। সকলেই অর্থবান মানুষ।
প্রায় ৩০০ পরিবারের বাস এই গ্রামে। যাঁদের প্রত্যেকেই যথেষ্ট অর্থের মালিক। এরমধ্যে আবার ৮০টি পরিবার রয়েছে, যারা কোটিপতি পরিবার। তাই এই গ্রামকে ভারতের বড়লোক গ্রাম বলা হয়।
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার হিবরে বাজার গ্রাম হল সেই গ্রাম যাকে কোটিপতিদের গ্রাম বলা হয়। আশপাশের অনেক জায়গাই রুক্ষ। আশপাশের অনেক গ্রামেই দরিদ্রদের বাস। কিন্তু তার মাঝে এই হিবরে বাজার গ্রাম এক ব্যতিক্রম। যেখানে সব পরিবারই কমবেশি অর্থবান।
গ্রামের ৫০ শতাংশ পরিবারেরই বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি। তবে এ গ্রাম এমন ছিলনা। ৮০ বা ৯০-এর দশকে এ গ্রামে প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবারই অতি দরিদ্র ছিল। খাবার নেই, জল নেই, এক ভয়ংকর পরিস্থিতি ছিল গ্রামের। অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েও যান। তারপর যে কজন গ্রামের মানুষ ছিলেন তাঁরা ১৯৯৫ সালের পর গ্রামে গাছ লাগানো, জলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন।
সবুজে ভরে ওঠা গ্রামটিতে ক্রমে একটি মডেল গ্রাম হয়ে ওঠার মত যাবতীয় নিয়ম কার্যকর করা হয়। কিছু সরকারি অনুদানও জোটে। এনজিও পাশে এসে দাঁড়ায়। ভাগ্য ফিরে যায় গ্রামবাসীদের। তবে তা হয় তাঁদেরই পরিশ্রম ও অনুশাসনে। যা তাঁদের ক্রমে অর্থবানও করতে থাকে। এখন এই গ্রাম সারা ভারতের চোখে একটি মডেল সম।