গোটা গ্রামে বাস করে একটিমাত্র পরিবার, কেন শুনলে চোখে জল আসবে
একটা বিশাল গ্রামে একটিমাত্র পরিবার বাস করে। আর কেউ এ গ্রামে বাস করতে রাজি নয়। কেন জানলে অনেকের চোখ জলে ভিজবে।
একটি গ্রামে অনেক পরিবারের বাস হয়। এটাই চিরকালীন দৃশ্য। মানবসভ্যতায় পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাওয়া যায় সেখানেই গ্রামের চিত্রটা প্রায় একই রকম হয়। ভারতের মত কৃষি প্রধান দেশে অধিকাংশ গ্রামের মানুষের কাছে কৃষিই অন্যতম রোজগার। গ্রাম মানেই বহু মানুষের বাস। কিন্তু এই ভারতেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে একটিমাত্র পরিবার বাস করে। আর কোনও পরিবার থাকতে রাজিই নয় এই গ্রামে। কিন্তু কেন? কি আছে এই গ্রামে?
এই কি আছেতেই উত্তরটা লুকিয়ে আছে। এ গ্রামে আসলে কিছুই নেই। যে স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের ৩ সন্তান নিয়ে এই একটি গোটা গ্রাম সেই অসমের ঘোঘরাপাড়া সার্কেলের নম্বর ২ বর্ধনরা গ্রামে মানুষের বেঁচে থাকাটাই দুষ্কর।
এই গ্রামে পরিকাঠামো বলতে কিছু নেই। সড়ক নেই, বিদ্যুৎ নেই, যাতায়াতের জন্য কোনও পরিবহণ নেই। ভরসা বলতে একমাত্র নৌকা।
গ্রামের কেউ যদি চিকিৎসা করাতে, স্কুল, কলেজে যেতে বা অন্য কোনও কাজে কোথাও যেতে চান প্রথমেই তাঁদের হেঁটে ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। যে পথে হাঁটাটাই একটা চ্যালেঞ্জ।
সেই পথও আবার বৃষ্টির সময় হারিয়ে যায়। জলের তলায় চলে যায় গ্রামের চারধার। ফলে এই একটিমাত্র পরিবারকে পাকা সড়ক পর্যন্ত পৌঁছতে ২ কিলোমিটার পথ নৌকায় যেতে হয়। সে সময় খাবার পাওয়া দুষ্কর হয়।
সারাবছর বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধে নামলে ভরসা কেবল কেরোসিনের আলো। পড়াশোনাও হয় সেই আলোতেই। ১৬২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদও তেমন নেই।
অভিযোগ অসম সরকার এই গ্রামের হাল ফেরানোর কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে চিরদিনই উদাসীন। তাই এই চরম কষ্ট সহ্য করেই কাটে এই একটি পরিবারের গ্রামের ৫টি বাসিন্দার জীবন।