এ গ্রামের সবাই কোবরা পোষেন, ছোটদের খেলার সঙ্গীও এই বিষধরেরা
গ্রামের মানুষ গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর, মুরগি, হাঁস এবং এমন অনেক কিছুই পুষে থাকেন। কিন্তু এমন একটিই গ্রাম আছে যেখানে মানুষ অতি বিষধর কোবরা পোষেন বাড়িতে।
আশপাশের গ্রামের মানুষও এই গ্রাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। কিন্তু এ গ্রামের মানুষ জন্মে থেকেই সাপ দেখে অভ্যস্ত। কারণ বাড়িতেই পরিবারের একজন হয়ে থাকে সাপেরা। তাও যদি বিষহীন সাপ হত! এ গ্রামে আবার কিং কোবরা বা কোবরার মত অতি বিষধর সাপই পোষেন সকলে।
প্রতিটি বাড়িতেই এই বিষধরেরা থাকে। সেখানেই খাওয়াদাওয়া করে। প্রতি বাড়ির বাসিন্দাই বাড়ির পোষা সাপের জন্য আলাদা একটি জায়গার ব্যবস্থা করে রাখেন। সেখানেই সাপেরা প্রয়োজনে বিশ্রাম নেয়। সেটাই তাদের আশ্রয়।
প্রতিটি পরিবার যে সাপ বাড়িতে পোষে তা এমনই বিষাক্ত যে একটি ছোবলে মৃত্যুও হতে পারে। কিন্তু গ্রামের মানুষ ভয় তো দূর, সাপদের যত্ন নেন। বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা খেলার সময় বাড়ির পোষা সাপকেও খেলায় শামিল করে।
সাপের সঙ্গে চুটিয়ে খেলা করে তারা। যখন তখন সাপদের হাতে তুলে নেয়। গায়ে জড়িয়ে নেয়। সাপ তাদের কাছে গরু, ছাগল, মুরগি বা হাঁসের মত এক গৃহপালিত প্রাণি।
মহারাষ্ট্রের শেঠপাল হল সেই গ্রাম যেখানে সাপ ও মানুষ একসঙ্গে থাকেন। এখানকার প্রতিটি বাড়িতে বিষধর সাপ পোষা হয়। এই গ্রামের মানুষের প্রাচীন বিশ্বাস যে বাড়িতে সাপ পোষা থাকলে তাঁদের পরিবারের ওপর কোনও খারাপ কিছু নেমে আসবেনা। পরিবার ভাল থাকবে।
শেঠপাল গ্রামের মানুষের এই সাপ পোষার প্রাচীন রীতি কিন্তু এই গ্রামকে সারা বিশ্বে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। সাপের গ্রাম বলে ভারত তো বটেই, এমনকি বিশ্বেও শেঠপাল গ্রামের পরিচিতি।