আলেকজান্ডারকে জ্যান্ত সমাধি দেওয়া হয়, কেন বলেন ঐতিহাসিকরা
আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট নামটার মধ্যেই এক বীরত্বের গাথা জড়িয়ে আছে। সেই আলেকজান্ডারকে নাকি জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হয়েছিল মাটির তলায়।
প্রাচীন গ্রিক রাজ্য ম্যাসিডোনিয়ার রাজা ছিলেন আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট। তাঁর বীরত্বের কথা বিশ্ব ইতিহাসে সমাদৃত। নানা ঐতিহাসিক তাঁকে নিয়ে নানা তথ্যমূলক লেখনী প্রকাশ করেছেন। তাঁকে নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে আজও অন্যতম পরিচিত এক সম্রাট আলেকজান্ডারের মৃত্যুও রহস্যে মোড়া।
অনেকে মনে করেন তাঁর মৃত্যু হয়েছিল ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। টানা প্রায় ১২ দিন ধরে কষ্ট পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন ম্যালেরিয়া নয়, তবে অন্য কোনও অসুখ প্রাণ কেড়েছিল ৩২ বছরের এই বীরের।
কিন্তু অপেক্ষাকৃত আধুনিক ঐতিহাসিকদের একাংশ কিন্তু মনে করেন আলেকজান্ডারকে মাটিতে জ্যান্ত অবস্থাতেই পুঁতে ফেলা হয়েছিল। অবশ্য তা কোনও শত্রুতা চরিতার্থ করতে নয়। নেহাতই না বুঝে আলেকজান্ডারকে জ্যান্ত পুঁতে দেওয়া হয়েছিল।
একাংশের ঐতিহাসিকের মতে, আলেকজান্ডার এক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই রোগের নাম গিলাঁ বারেঁ সিনড্রোম। এই রোগে শরীরের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। একধরনের প্যারালিসিস।
তবে এই রোগে রোগীর মস্তিষ্ক সুন্দর কাজ করে। তিনি সবই দেখতে পান, বুঝতে পারেন। কিন্তু শরীর নাড়তে বা কথা বলতে পারেননা। এটাই নাকি হয়েছিল আলেকজান্ডারের।
কিন্তু ১২ দিন পর আলেকজান্ডারকে নড়তে চড়তে না দেখে সকলে ধরে নেন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ফলে তাঁর সৎকারের ব্যবস্থা হয়। আলেকজান্ডারকে রীতি মেনেই কবর দেওয়া হয়। কিন্তু তখন আলেকজান্ডার সবই বুঝতে পারছিলেন। কিন্তু কোনওভাবেই তা বোঝাতে পারছিলেন না যে তিনি বেঁচে আছেন, তাঁর মৃত্যু হয়নি।