হাই তোলা দেখে কোনও প্রাণির মস্তিষ্কের পরিচয় পাওয়া যায়, বোঝা খুব সহজ
কোনও প্রাণি হাই তুললে তা দেখে বোঝা যেতে পারে তার বুদ্ধি কত। হাই অনেক কিছু বলে দিয়ে যায়। আর এটা বোঝাটাও খুব কঠিন কাজ নয়।
শুনে একটু অবাক করা মনে হতেই পারে। মনে হতে পারে কোনও প্রাণির হাই তোলার সঙ্গে তার বুদ্ধির কি সম্পর্ক। তার মস্তিষ্কের আকারের কি সম্পর্ক। মস্তিষ্কে কত নিউরোন রয়েছে তা জানা কীভাবে সম্ভব। কিন্তু এগুলো সম্ভব কেবল কোনও প্রাণির হাই তোলা দেখে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেবল হাই তোলা দেখে মস্তিষ্কের পরিচয় পাওয়ায়ই নয়, হাই তুললে আরও বেশ কয়েকটি উপকার হয় যে কোনও প্রাণির। সে মানুষ হোক বা অন্য কোনও প্রাণি। এটা বোঝা কিন্তু খুব সহজ।
যে প্রাণির হাই তোলা যত বড় হবে, তার মস্তিষ্কও তত বড় হবে। একটি প্রাণি যত বেশি সময় ধরে হাই তুলবে, বুঝে নিতে হবে তার মস্তিষ্ক তত বড়। আর বলাই বাহুল্য যে এই দীর্ঘক্ষণের হাই তোলায় মানুষ এবং বাঁদর জাতীয় প্রাণিরা এগিয়ে রয়েছে।
তবে এমনও একটি প্রাণি আছে যারা মানুষ বা বাঁদর প্রজাতির না হয়েও তাদের হাই লম্বা, ফলে তাদের মস্তিষ্ক বড় এবং তাদের মস্তিষ্কে নিউরোনের পরিমাণ বেশি। এই প্রাণিটি হল হাতি। যারা বুদ্ধিমান প্রাণি বলেই পরিচিত।
হাই তোলার সময় দেখে যেমন সেই প্রাণির মস্তিষ্ক কত বড় এবং তাতে নিউরোনের পরিমাণ কত বেশি জানা যায়, তেমনই হাই তুললে বেশ কয়েকটি উপকারও হয়।
যেমন হাই তুললে দেহের কয়েকটি অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। মস্তিষ্কে অনেক বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছয়। ফলে হাই তোলা মানে কেবল আলস্য নয়, এটি যে কোনও প্রাণির দেহের এক অন্যতম প্রয়োজন।