Festive Mood

শুভ নববর্ষ

বাবাকে আর প্রিয় শহরটাকে টা টা করে অনিকেত ঢুকে গিয়েছিল এয়ারপোর্টে। বিমানের জানালা দিয়ে ক্রমশ ছোট হতে হতে এক সময়ে মেঘের আড়ালে মিলিয়ে গিয়েছিল প্রাণের শহরটা।

প্লেন থেকে নামার সময়ই গরমটা টের পেয়েছিল অনিকেত। সকাল ছ‍’টা নাগাদই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বেলা বাড়লে কী হচ্ছে! গ্লোবাল ওয়ার্মিং। ইউরোপের দেশগুলোই গরমে নাজেহাল তো এই ক্রান্তীয় শহরের দোষ কী! কিছুক্ষণের মধ্যে লাগেজ নিয়ে অনিকেত বিমানবন্দরের বাইরে এসে দাঁড়াল। অনেক বদলে গেছে এয়ারপোর্টটা। বিদেশি শহরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। অনিকেতের ভাল লাগে। গাড়ি নিয়ে বাবার আসার কথা। ফোনে কথা হয়েছে। এক্ষুনি এসে পড়বে।

নয় নয় করে ১৬টা বছর। নেহাত কম নয়। সেই শেষ বার শহরের অলিগলি রাজপথ পেরিয়ে এয়ারপোর্ট পৌঁছেছিল অনিকেত। এয়ারপোর্টে ঢোকার মুখে ছলছলে চোখে মুখে হাসি নিয়ে বাবার জড়িয়ে ধরে পিঠটা চাপড়ে দিয়েছিল। কিছুক্ষণের জন্য নিজের গলাটাও যে বুজে আসেনি তেমন নয়। সেই শেষবার বাবাকে আর প্রিয় শহরটাকে টা টা করে ২২ বছরের যুবক অনিকেত ঢুকে গিয়েছিল এয়ারপোর্টে। বিমানের জানালা দিয়ে ক্রমশ ছোট হতে হতে এক সময়ে মেঘের আড়ালে মিলিয়ে গিয়েছিল তার প্রাণের শহরটা।


‘স্কাইপে যতটা বুড়ো লাগে খোলা চোখে তার চেয়েও বেশি বুড়ো হয়ে গেছ তুমি’। ‘তোর চুলে পাক ধরে গেল, আর তোর বাবা কচি খোকা থাকবে’। কথাগুলো বলতে বলতে অনির গালে আলতো আদরের ঘুসি মারেন সমরেশবাবু। ‘স্ট্রেস বুঝলে, কাজের চাপ। এনিওয়ে, শুভ নববর্ষ’! ‘তোকেও শুভ নববর্ষ, তোর এই নববর্ষের দিন কলকাতায় আসার সিদ্ধান্তটা আমার দারুণ লেগেছে। বাঙালি যে অ্যান্টার্কটিকায় থাকলেও কোথাও গিয়ে বাঙালিই থাকে তা আমার ছেলেকে দেখলে বেশ বোঝা যায়’।

গাড়িটা অনির কথামত সারা দিনের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। এসি চলায় বাইরের গরমটা বোঝা যাচ্ছেনা ঠিকই, কিন্তু রোদের তেজ যে কতটা তা রাস্তার দিকে চাইলেই টের পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতায় যে এখন তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির ওপর ঘোরাফেরা করছে তা আসার আগেই জেনেছিল অনিকেত। অনিদের বাড়ি শ্যামবাজারে। কিন্তু গাড়ি বাগুইআটি পার করতেই অনি বলল, ‘বাবা এখনই বাড়ি ফিরব না। চলো কালীঘাট যাওয়া যাক’। ‘কালীঘাটে কী করবি? পুজো দিতে চাস? আজ কিন্তু খুব ভিড়। ঢোকাই মুশকিল হবে’। সমরেশবাবু সতর্ক করেন। ‘না, পুজো নয়, মন্দিরে হালখাতার ভিড়টা দেখব। ওই মানুষগুলোকে দেখব। ‌যাঁরা ঝুড়িতে লক্ষ্মী-গণেশ, লাল শালুতে মোড়া হালখাতা, পুজোর ফুল নিয়ে মন্দিরে লাইন দেন। গরমে খালি পায়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন। কতদিন দেখিনি। বাবা আমাদের পাড়ার পরিমলকাকুর দোকানটা এখনও আছে? পরিমলকাকুকে দেখতাম, সকাল হলেই সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবী পড়ে কালী মন্দিরে হালখাতার ঝুড়ি নিয়ে পুজো দিতে যেত। দারুণ লাগত কিন্তু’। সমরেশবাবু হাসেন। ‘পরিমল এখনও ওই একইভাবে পয়লা বৈশাখে হালখাতা পুজো দেয়’। বলেন সমরেশবাবু। ‘বাবা আজ সকালটা চলো কিছুটা শহর পরিক্রমা করি। পয়লা বৈশাখের সকালটায় কলকাতার চেহারাটা বদলে যায়। কেমন একটা বাঙালিয়ানা পেয়ে বসে শহরটাকে। সব জায়গায় কেমন যেন বাঙালি বাঙালি ভাব। আমি নববর্ষের দিন ইউটিউবে বসে কলকাতার ছবি দেখি জানো!’


গাড়িটা ভিআইপি পার করে বাইপাসে। ঘড়িতে সকাল সাতটা দশ। আচমকা অনি ফের লাফিয়ে ওঠে। ‘না, প্রথমে কালীঘাট নয়। ছাতুবাবু বাজার চলুন। চড়ক দেখব’। গাড়ির ছোকরা চালক মুচকি হাসে। ২০১৬-র কলকাতায় সকাল সকাল এমন এক নববর্ষ সাফারিতে উৎসাহী বাঙালি সওয়ারি পেয়ে সেও বেশ মজা পেয়েছে। গাড়ি বেঙ্গল কেমিক্যাল দিয়ে ঘুরিয়ে বিডন স্ট্রিটের দিকে এগোল। বিডন স্ট্রিটের দিক দিয়ে ছাতুবাবু বাজারে অনি আর সমরেশবাবু যখন ঢুকলেন তখন প্রায় পৌনে আটটা। চড়ক গাছে তখন এক সন্ন্যাসী ঘুরছেন। বহু মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে। শূন্যে ঘুরতে ঘুরতেই ঝুলি থেকে আনাজ, বাতাসা, ফল ছুঁড়ছেন সন্ন্যাসী। আর তা ধরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। অনি ক্যামেরা বের করে। ‘কতদিন বাদে চড়ক ঘোরা দেখলাম। দারুণ না’! সমরেশবাবুকে বলে অনি। তারপর বেশ কয়েকটা ছবি নিয়ে বিডন স্ট্রিট জুড়ে বসা মেলায় এসে দাঁড়ায় ওরা। রাস্তার দু’পাশ জুড়ে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সামগ্রি থেকে মাটির পুতুল, লক্ষ্মী-গণেশের পসরা থেকে বাচ্চাদের খেলনা। অথবা ঘর সাজানোর জিনিস। অনির দারুণ লাগে। বেশ কিছুক্ষণ মেলায় ঘুরে বেড়ায় সে। অগত্যা সমরেশবাবুও অনির সঙ্গে ঘুরতে বাধ্য হলেন। অনি ছবি তুলে চলেছে। ‘একটা শহরের মধ্যে এমন একটা মেলা ভাবা যায়’! ছবি তুলতে তুলতেই বলে অনি। সমরেশবাবু হুঁ বলে সমর্থন করেন। ‘হ্যাঁরে তোর খিদে পায়নি। চল বাড়ি গিয়ে কিছু খেয়ে তারপর বেরোস না হয়’। সমরেশবাবু বলেন। ‘না না, বাড়ি নয়। রাস্তায় খাব। কচুরি আর জিলিপি’। রামদুলাল সরকার স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছয় অনিরা। মাঝে অবশ্য বসা কালীতলায় হালখাতা পুজোর বিশাল লাইনের কয়েকটা ছবি করেছে অনি।

গিরিশ পার্কের কাছে একটা দোকান থেকে কচুরি, জিলিপি খেয়ে অনিদের নিয়ে গাড়ি চলল কালীঘাট। অনি সাফ জানিয়ে দিয়েছে কোনও শর্টকাট নয়, ঘিঞ্জি কলকাতা দিয়েই যাবে ও। এতদিন বাদে চেনা শহরটাকে প্রাণভরে দেখতে চায়।‌’ যাই বল ২০০০ সালে যখন যাচ্ছিলাম তখনও কলকাতা যেমন ছিল এই ২০১৬-তে এসে দাঁড়িয়েও ঠিক একই আছে। খুব একটা কিছু বদলায়নি। কেবল কিছু নতুন দোকান তৈরি হয়েছে। বাসগুলো কিছুটা বদলেছে। ছেলে-মেয়েদের পোশাকে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। পাঞ্জাবীর নানান ধরণ এসেছে দেখছি। ১৬ বছর আগে কিন্তু এতরকম পাঞ্জাবী দেখিনি। আর ট্রাফিক সিগনালিং সিস্টেমটা অনেকটা ভদ্র হয়েছে’। অনি নিজের মনে বলতে থাকে। বিডন স্ট্রিটে ঘণ্টা খানেক রাস্তায় কাটানোর পর গরমে ওর মুখটা লাল হয়ে গেছে। গাড়ির ঠান্ডাতেও দরদর করে ঘাম বার হচ্ছে। ‘অনি কষ্ট হচ্ছে? দেখ, তোর কিন্তু এই গরমে থাকার অভ্যেস নেই। তেমন হলে বাড়ি চল। তোর জন্য খাওয়ার সবরকম আয়োজন করেছে তোর নতুন কাকিমা’।

ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছে অনি। তারপর থেকে বাবাই সব। আর ছিল বিশাল পরিবারটা। একান্নবর্তী যে গুটি কয়েক পরিবার কলকাতায় এখনও লুপ্তপ্রায় নিদর্শন হিসাবে রয়ে দিয়েছে তার মধ্যে এই লাহিড়ি পরিবার অন্যতম। এই নতুন কাকিমাই তাকে কোনও দিন মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি। ২০০০ সালে যখন চাকরি নিয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে আমস্টারডাম পাড়ি দিল অনি, তখন সবচেয়ে বেশি কেঁদেছিলেন নতুন কাকিমা। তারপর ওখানেই কেটেছে জীবন। অফিসের কাজে দেশ বিদেশে ঘুরতে হয়েছে। বাবাকে কয়েকবার নিজের কাছে নিয়ে গেছে। কিন্তু কলকাতায় ফেরার ইচ্ছেটা কেন জানি হারিয়ে গিয়েছিল। তবে এবার হঠাৎ কিছুদিন আগে থেকেই ফের ওকে কলকাতা টানতে শুরু করেছিল। সামনেই নববর্ষ থাকায় ঠিক করে ওদিনই কলকাতায় আসবে।

‘বিয়েটা এবার করে ফেল অনি। অমন জিদ ধরে থাকিস না। বয়স কিন্তু পেরিয়ে গেছে। ৩৮ বছর বয়স হল তোর’। গাড়িতেই বলেন সমরেশবাবু। রাস্তায় পুরুষরা পাঞ্জাবী আর মহিলারা অনেকেই তাঁত বা ঢাকাই পড়ে চলেছেন। ভাল লাগে অনির। প্রবল গরম। তবু তা নববর্ষের উৎসাহে ভাটা ফেলতে পারেনি। ‘এখন ওসব কথা থাক বাবা। পরে হবে। এখন শুধু শহরটাকে প্রাণভরে দেখতে দাও’। সমরেশবাবু নিরাশ হয়ে জানলার দিকে চোখ রাখেন।

কালীঘাটের ছবিটাও একই। হালখাতার ঝুড়ি হাতে বিশাল লাইন সাপের মত এঁকে বেঁকে বহু দূর পর্যন্ত চলে গেছে। অনি ছবি তুলতে থাকে। সমরেশবাবু কোথা থেকে দুটো ডাব কিনে এনেছেন।’ গরমে বিয়ার তো অনেক খেয়েছিস। এবার এটা খা। বহু কাল তো খাসনি। কেমন আরাম দেখ। তোদের ওই বিয়ারের চেয়ে অনেক ভাল’। সমরেশবাবু ছেলের সঙ্গেও খোলাখুলি কথা বলতে ভালবাসেন।

অনির আবদার মেনে কালীঘাট হয়ে গাড়ি পৌঁছল ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি। সেখানে প্রণাম সেরে ফের গাড়িতে চড়ে অনি বলল ‘বাবা তুমি ধুতি পরাতে পার, না’? ‘হ্যাঁ, পারি’। অবাক চোখে তাকান সমরেশবাবু। ‘আজ সন্ধেয় ফটিক মামার সোনার দোকানে ধুতি আর পাঞ্জাবী পরে যাব। চল এখনই ধুতি-পাঞ্জাবী কিনব। কোন দোকানে ভাল পাব বল’।

কলকাতাটাকে আর একটু পাক খেয়ে অনিরা যখন শ্যামবাজারের বাড়িতে ঢুকল তখন প্রায় সাড়ে ১২টা। মাথার ওপর সূর্য আগুন ঢালছে। তবু ওদের পুরনো বাড়িটায় ঢুকেই একটা চেনা গন্ধ অনিকে কেমন যেন বিভোর করে দিল। উঠোন,কলতলা,পুরনো বাড়ির সোঁদা সুবাস, চুন সুরকির কবেকার সবুজ রঙের দেওয়াল, ক্লান্ত দুপুরে পায়রার বকবকম আর এতগুলো বাংলা বলা মানুষ। অনিকে নস্টালজিয়া চেপে ধরছে। উঠোনে বিরাট চৌবাচ্চা। বাড়ির পুরুষরা সাধারণত সেখানেই চান করেন। তাকে ঘিরে একপ্রস্ত হৈচৈয়ের পর অনিও তাই করল। একটা অদ্ভুত ফিলিংস। কতদিন বাদে এই কলতলাটায় চান করছে ও। পাশেই কোথাও থেকে ঢাকের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অনির দারুণ লাগে। সমরেশবাবু বললেন, ‘পাশে নন্দীদের বাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজো হচ্ছে। ওদের বাড়ি থেকেই ঢাকের আওয়াজ আসছে’। অনি চান করতে করতে ঢাকের আওয়াজে মন দেয়।

দুপুরে ভাত, ডাল, তরকারি, পারশে, রুই, চিংড়ি, সঙ্গে খাসির মাংস। শেষ পাতে রসগোল্লা আর দই। মেনুটা স্কাইপে অনির কথামতই তৈরি করা হয়েছে। এমনকি নববর্ষের দিন কলাপাতায় খাওয়ার আর্জি মেনে আনা হয়েছে কলাপাতাও। কিন্তু সামনে খাবারগুলো পড়তেই অনি ভীষণ ঘাবড়ে গেল। ‘অসম্ভব’ বলে একটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেও বাড়ির সকলের চাপে সবই কিছুটা করে খেতেই হল। নববর্ষের দিন দুপুরের পাতে মিষ্টি দই লাহিড়ি পরিবারের বহু পুরনো রীতি। ফলে কিঞ্চিত জোর করেই দইটা মুখে দিতে হল অনিকে। অনির আবদারে একটা মিঠে পান নতুন কাকা এনেই রেখেছিলেন। সেটা মুখে দিয়ে ঘরে গিয়ে বসল অনি। অনির পাশে এসে বসলেন সমরেশবাবু। অনির ঘরের জানলা দিয়ে নন্দীদের বাড়ির অন্নপূর্ণা পুজোটা দেখা যাচ্ছে। কত মহিলা পুরুষ হৈহৈ করছে। মেয়েদের পরনে আটপৌরে ঢঙে শাড়ি, গা ভর্তি গয়না। পুরুষরা সাবই মোটামুটি পাঞ্জাবী পরে। নববর্ষে কী গোটা কলকাতাটাই আজকাল পাঞ্জাবী পড়ছে। অনি একদৃষ্টে চেয়ে আছে নন্দীদের বাড়ির দিকে। পুরনো দিনের বাড়ি হওয়ায় ফ্যানেই অনেকটা কাজ চলে যাচ্ছে। গরম থাকলেও তেমন অনুভব হচ্ছে না। সমরেশবাবু অনির পাশে এসে বসেন। ‘অনি, তুই কী সত্যিই বিয়ে করবি না? এমন একটা ধনুর ভাঙা পণ করে বসে আছিস কেন বলত? তোর জন্য তো আমার চিন্তা হয়’। অনি চুপ করে থাকে। আরও কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেও বিফল হয়ে সমরেশবাবু ঘরে চলে যান।

বিকেলের দিকে সমরেশবাবু আধো ঘুমের মধ্যেই বুঝতে পারেন তাঁর পাশে কেউ বসে আছে। চোখ খুলে দেখেন অনি। ‘কীরে কিছু বলবি’? অনি সমরেশবাবুর হাতটা চেপে ধরে। ‘বুঝলে বাবা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। তোমার আশাই পূরণ হোক। আমি বিয়েটা করব। তবে আমার একটা নিপাট ঘরোয়া বউ লাগবে। শাড়ি, গয়না পড়লে যাকে একদম বাঙালি মনে হয়। ঠিক মায়ের মত। আর তেমন মেয়ে তোমাকেই খুঁজে দিতে হবে। খুশি’! সমরেশবাবু চোখ ছলছল করে ওঠে। ‘দাঁড়াও দাঁড়াও, বেশি ইমোশনাল হওয়ার দরকার নেই। আমার এখনো বলা শেষ হয়নি। সব হবে, কিন্তু তার আগে আমার একটা শর্ত আছে। আজ সন্ধেয় ফটিক মামার ওখানে যাবার আগে তোমায় ধুতি পড়িয়ে দিতে হবে। আর যদি বাড়ি ফেরার আগে ওটা কোনোভাবে খুলেছে তো সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ক্যানসেল। রাজি’? সমরেশবাবু হো, হো করে হেসে অনিকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘রাজি, রাজি, রাজি’।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button