রকমারি খেলনা আর শৈশবের মধ্যে এক অদ্ভুত টানের সম্পর্ক। কারোর ছোটবেলা সেজে ওঠে পাহাড় প্রমাণ খেলনায়। আবার অনেকের মুগ্ধতার দুনিয়ায় জায়গা করে নেয় লাল-সাদা-গোলাপি টেডি বেয়ার। বয়স যতই বাড়ুক, লোমশ আদুরে টেডিকে হাতছাড়া হতে দিতে চায় না মন। বিছানার ওপর থরে থরে সাজানো টেডি বন্ধুকে দেখলেই মনের সব কষ্ট এক পলকেই গায়েব। ঘুম জড়ানো চোখে অভিন্ন হৃদয় পুতুল সঙ্গীর গায়ে হাত রেখে মেলে অপার ভরসা। প্রাণহীন টেডি তার মানুষ বন্ধুর কাছে বড় বেশি প্রাণবন্ত। বাড়ির সদস্যদের তালিকায় ঢুকে পড়া টেডিকে আদরে আদরে ভরিয়ে তুললেই শান্ত হয়ে যায় মন।
টেডি বেয়ার বাচ্চাদের আর মেয়েদের কাছে বিশেষ প্রিয় এক খেলনা। ‘মেয়েলি’, ‘শিশুসুলভ’ এই খেলনা নিয়ে যদিও খুব বেশি উৎসাহ নেই ‘বড়’ হয়ে যাওয়া ছেলেদের। তবুও মনের ভিতরে তো একটা শিশু লুকিয়ে থাকে সবারই। তাই ‘ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ’-এ টেডি বেয়ার কিনতে দোকানে ভিড় জমাতে দেখা যায় লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলকেই। উপহারের ডালি থেকে কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণী, যুবক যুবতীর জহুরির চোখ খুঁজে নেয় মনের মানুষের জন্য বিশেষ টেডিটিকে। বিশেষত প্রেমিকার মনের কুঠুরিতে ছোট, বড় বা মাঝারি টেডির হাত ধরে ঢুকে পড়ার এইতো সুযোগ! অন্যদিকে টেডি বসানো ছোট্ট চাবির রিং বা শো পিস কিনে বন্ধু বা বিশেষ বন্ধুকে ‘সারপ্রাইজ’ দিতে কম যায় না মেয়েরাও।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারি মাসের দশম দিবস প্রেমের ক্যালেন্ডারে ‘টেডি ডে’ নামে চিহ্নিত। এই দিন প্রেমিক, প্রেমিকা বা বন্ধুরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায় টেডি উপহার দিয়ে। গোলাপ, কার্ড, ক্যাডবেরির সাথে একটা মিষ্টি টেডি। এই দিয়েই জমে ওঠে ভালবাসার কার্নিভাল। আকার যাইহোক দিনটা টেডি ডে। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের এই দিনটাই তাই সামর্থ্য মত একটি ভালবাসা ভরা টেডি একে অপরের হাতে তুলে দিতে তৈরি তরুণ প্রজন্ম।