আমরা দুজনে আবার এসে বসলাম বিশ্বনাথ মন্দিরঅঙ্গনে, আগে বসেছিলাম যেখানে। সাধুবাবা ঝোলা থেকে কল্কে আর গাঁজা বের করলেন। সাজলেন বেশ পরিপাটি করে। কল্কেটা মুখে ধরে আগুনটা ধরিয়ে দিতে বললেন। প্রথমে ফুকফুক করে পরে বেশ জব্বর একটা টান দিয়ে ছিলিমটা এগিয়ে দিলেন। সাধুবাবার টানার কায়দা অনুকরণ করে আমিও টানলাম। ছিলিমটা তাঁর হাতে দিতে বললেন,
– বেটা, সংসারে আছিস, ধৈর্যটা ধরবি। মানুষের সাংসারিক ও মানসিক শান্তির অন্তরায় হল ধৈর্যের অভাব। ধৈর্যের অভাব মানুষের মৃত্যুকে পর্যন্ত আলিঙ্গন করতে পারে, আবার ধৈর্য ভগবানকে টেনে আনতে পারে আর শান্তি আনতে পারবে না, তা কি কখনও হয়? অসহিষ্ণুতা সমস্ত প্রকার কার্য সিদ্ধির একমাত্র ও প্রধান বাধাস্বরূপ। মনের মৃত্যু বাস করে কোথায় বলতে পারিস?
মাথা নেড়ে বললাম জানিনা।
সাধুবাবা বললেন,
– মনের মৃত্যু বাস করে ক্রোধে। পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, ক্রোধ করবি না কখনও। বেটা, নিজের প্রায় দেহটার সঙ্গেই মানুষের যখন চিরকাল সম্বন্ধ থাকে না তখন সংসারে কারও সঙ্গে কোনও কারণে সম্পর্ক নষ্ট হলে তা নিয়ে এতটুকুও মানসিক কষ্ট পাবি না। দেখবি এতে মানসিক শক্তি বাড়বে। মনের আনন্দও বজায় থাকবে।
বৃদ্ধবাবা থামলেন। আয়েস করে গাঁজা টানলেন। ধোঁয়া ছাড়লেন ভুসভুস করে। কল্কেটা দিলেন আমার হাতে। ওই একই কায়দায় টেনে ফিরিয়ে দিলাম সাধুবাবার হাতে। তিনি বললেন,
– সংসারে থেকে যদি সুখী হতে চাস তা হলে কোনও বিষয়ে তেষ্টা রাখবি না। সংসারে একমাত্র সেই মানুষই সুখী যার তেষ্টা নেই। তেষ্টার নামান্তরই লোভ। তবে বেটা মনের সন্তোষ, চিত্তের সন্তোষ গুরুর করুণা ছাড়া আসে না। তাঁর কৃপা ও করুণা বিনা মানুষের সুবুদ্ধিও আসে না। আরও একটা কথা বেটা, বিষয়ভোগের আকাঙ্ক্ষা কখনও শাশ্বত শান্তি দিতে পারে না।
পড়ুন : সুখ ও দুঃখ কী, কয়েক শব্দে জানালেন ১৩৩ বছরের সাধুবাবা
কল্কেটা নিভে গিয়েছে। দেশলাইটা এগিয়ে দিয়ে কল্কেটা মুখে ধরতেই আগুনটা ধরিয়ে দিলাম। সাধুবাবা শেষ টানটা দিলেন, আমিও। মাটিতে টুকটুক করে ছাই ঢালতে ঢালতে বললেন,
– আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে বেশ কিছুদিন ছিলাম বদরীনারায়ণে। সেখানে আমার সঙ্গে এক উচ্চমার্গের হঠযোগী মহাত্মার (হঠযোগী ভাবনামাত্র মুহুর্তে দেহ সমেত আমেরিকায় পৌঁছতে পারে) পরিচয় হয়। আমরা দু’জনে মাসখানেক ছিলাম একসঙ্গে। অসম্ভব স্নেহ ভালোবাসা আর অফুরন্ত আশীর্বাদলাভ করেছিলাম যা আজও আমার জীবনের পরম পাথেয়। আমার সঙ্গে যখন পরিচয় হয় তখন তাঁর বয়েস ১৮০ বছর।
একটু থামলেন। তাকালেন আমার মুখের দিকে। বুঝলাম আমার ভাবটা লক্ষ্য করলেন। প্রশান্ত হাসিমাখা মুখে বললেন,
– বেটা, সেই মহাত্মা আমাকে একদিন বললেন, তুই কি মানস কৈলাস দর্শন করেছিস?
আমি মাথা নেড়ে ‘না’ বললাম। সেই মহাত্মা বললেন, ‘তোকে আমি ওই মহাপুণ্যতীর্থ দর্শন করাব। কাল সকালে তৈরি হয়ে নিবি’। একথা শুনে মন আমার আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠল। দিনটা কাটল কোনওভাবে। রাতটা যেন আর কিছুতেই কাটতে চায় না। সারাটা রাত দু-চোখের পাতাটা এক হল না। ভোর হতেই নিত্যকর্মটুকু সেরে ফেললাম। তারপর গিয়ে তাঁর কাছে দাঁড়ালাম।
বৃদ্ধ সাধুবাবা বললেন,
– বেটা, এবার সেই মহাত্মা পদ্মাসন করে বসলেন আমরা আশ্রমের যে ঘরে ছিলাম সেখানে। আমাকে বললেন তাঁর পাশে তাঁকে স্পর্শ করে পদ্মাসনে বসতে। আমি সেই ভাবেই বসলাম। এবার বললেন চোখ বুজতে আর যতক্ষণ না তিনি চোখ খুলতে বলবেন ততক্ষণ যেন চোখ না খুলি। চোখ খুললে বড় বিপদ হবে। সেই মহাত্মার কথা মতো চোখ বুজে বসে রইলাম। প্রায় মিনিট পাঁচেকের মধ্যে আমি অনুভব করলাম আমার সারাটা দেহ ক্রমশ হালকা হতে লাগল। ক্রমে মনে হল আমার দেহ বলে কিছু নেই। এরপর আরও মনে হল আমি শূন্য।
বৃদ্ধ একশো তেত্রিশ এতক্ষণ কথা বলেছিলেন চোখ বুজিয়ে। এবার তাকালেন মুখের দিকে। আমি বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে কথা শুনছি। মুখ থেকে একটা কথাও সরলো না। তিনি বললেন,
– এই অবস্থাটা ছিল আমার আন্দাজ মাত্র মিনিট খানেক। এর বেশি বা কমও হতে পারে। কারণ তখন আমার অতিসূক্ষ্ম একটা জ্ঞান ছিল তবে জাগতিক ও দেহের কোনও বোধ ছিল না। সেই বৃদ্ধ হঠযোগী মহাত্মা আমাকে এক সময় বললেন, ‘বেটা এখন চোখ খোল।’ চোখ খুলতে দেখলাম, মানস সরোবরের তীরে একেবারে নির্জনে এক জায়গায় বসে আছি। যেভাবে যেমন করে বসেছিলাম বদরীনারায়ণে। এরপর সেই মহাত্মা আর আমি স্নান সেরে কৈলাস দর্শন ও পরিক্রমা করে ঠিক একই পদ্ধতিতে ফিরে এলাম নারায়ণক্ষেত্রে।
এই পর্যন্ত বলে অত্যন্ত প্রসন্ন ও উজ্জ্বল হাসিমাখা মুখে আমার চোখে চোখ রেখে ইশারায় ভ্রু-যুগল নাড়লেন। ভাবটা এই, ‘কি বুঝলি বেটা?’ মুখে কিছু বললাম না। মনে মনে ভাবলাম, কোন জন্মের কি কর্মফলে এমন মহাত্মার সঙ্গ করছি তা যদি জানতে পারতাম তা হলে জীবন মন আমার ধন্য হয়ে যেত। আমি বারবার সাধুবাবার পায়ের ধুলো নিয়ে পাগলের মতো শুধু গায়ে মাথায় বুকে মাখতে লাগলাম। তিনিও দু-হাত মাথায় বুলিয়ে, মাথায় ও দু-গালে আশির্বাদী চুমুতে ভরিয়ে দিলেন। ইশারায় জানতে চাইলেন আর এক-আধটান হবে নাকি? ঘাড় নেড়ে হ্যাঁ বললাম। সাধুবাবা গাঁজা সাজার কাজে লেগে গেলেন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম বেলা প্রায় আড়াইটে। বসেছি সকাল আটটায়। সাধুবাবাকে বললাম,
– বাবা, দুপুরের খাবার কিছু কিনে আনব?
সঙ্গে সঙ্গেই জানালেন,
– না না বেটা, তোর কিছু কেনার দরকার নেই। পূজারিজিকে ইশারায় বিশ্বনাথের প্রসাদ পাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছি। এখানে বেলা দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে প্রসাদ পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে গাঁজা সাজা হয়ে গেছে। সাধুবাবা টানলেন। পরে তাঁর গাঁজাপ্রসাদ পেলাম। এই পর্বটা শেষ হতেই আপনভাবে বৃদ্ধ বললেন,
– বেটা, সংসারজীবনে প্রতিটা মানুষ যা কিছু পেতে চায়, নিতে চায়, তা যদি সব পেয়ে যেত তাহলে প্রতিটা মানুষই বড় ভাগ্যবান হয়ে যেত। যে যত লোভই করুক না কেন, যা কিছু পেতে চাক না কেন, বেটা, তা সবই নির্বাহিত হয় নিজ কর্মফলদ্বারা। সুতরাং কোনও কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবি না। পাওয়ার হলে সময় মতো পেয়ে যাবি, না পাওয়ার হলে পাবি না। এই দেখ না আমার কথা। বিনা চেষ্টাতে মানস কৈলাস হয়ে গেল। আমি নির্জন মরুপ্রান্তরে অসুস্থ হয়ে পড়লাম আর স্বয়ং হিংলাজমাতা নিজে রক্তমাংসের দেহে এসে ওষুধপথ্য দিয়ে গেলেন। এসব কি ভেবে বা চেষ্টা করে হয়, না হয়েছে কারও কখনও। আকাঙ্ক্ষার তৃপ্তি নেই। মানুষের তৃষ্ণা যত বাড়বে, সমতালে নাচতে নাচতে দুঃখও তত বাড়বে।
পড়ুন : হিন্দুদের কেন দাহ করা হয়, সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন সাধুবাবা
প্রসঙ্গটাকে একটু অন্য প্রসঙ্গে নিয়ে যাওয়া ও নিজের অন্তরে অনেকক্ষণের কৌতূহল নিবৃত্তির জন্য বললাম,
– বাবা, সেই কোন ছোটবেলায় গৃহত্যাগ করেছেন। দেখতে দেখতে জীবনের একশো তেত্রিশটা বছর কেটে গেল আপনার। এতগুলো বছরের মধ্যে কখনও খুব অসুস্থ হয়েছেন? হয়ে থাকলে কে সেবাযত্ন করেছে, ওষুধ ডাক্তারই বা কি করেছেন?
কথাটা শুনে একেবারে উচ্চস্বরে হো-হো করে হেসে উঠলেন বৃদ্ধতাপস। গালে একটাও দাঁত নেই। হাসিটা সদ্য প্রস্ফুটিত শিশিরে ভরা পদ্মের মতো মনে হল। শিশির মাখানো মুখে বললেন,
– এতক্ষণে বেশ ভালো একটা কথা বলেছিস তুই। বেটা, দেহটা যখন রক্তমাংসের তখন রোগ ভোগ তো কিছু হয়েছে। তবে সেটা সাধারণ রোগভোগ, যেমন জ্বরজারি ইত্যাদি ছাড়া কঠিন কোনও ব্যাধি আজও কিছু হয়নি। কেন হয়নি জানিস? আসলে আমার গুরু বা ইষ্ট জানে, আমার দেহে রোগব্যাধি দিয়ে পথে ফেলে রাখলে তো ভুগতে হবে তাঁদের, যতক্ষণ না আমি সুস্থ হচ্ছি ততক্ষণ তো আমার পিছনেই পড়ে থাকতে হবে গুরু বা ইষ্টকে। কারণ আমি সেই ‘বচপনে’ ঘর ছেড়ে তাঁদের ছাড়া জগতের আর কিছুই জানি না, কাউকে ভাবিনিও মুহুর্তমাত্র। বেটা, আজও আমার দেহ নীরোগ। একটা কথা বলি, গৃহত্যাগের পর ‘রমতা সাধু’ অর্থাৎ যাদের থাকার ঠিক নেই, খাওয়ার ঠিক নেই, আজ এ তীর্থে তো কাল সে তীর্থে, যাদের স্থায়ী কোনও ডেরা নেই, সেইসব সাধুসন্ন্যাসীরা দেখবি সাধারণত দীর্ঘকাল রোগে ভুগে দেহত্যাগ করে না। এরা প্রায়ই পড়ে আর মরে।
একটু থামলেন। তাকালেন একবার মুখের দিকে। বললেন,
– বেটা, সংসারজীবনে ঘনিষ্ঠ যারা, বাড়ির পুরনো চাকরবাকর যারা, আর ধনবান যারা, এরা কোনও অপরাধ করতে যেমন ভয় পায় না, তেমনই ভয় পায় না কাউকে, জাগতিক কোনও দুঃখ কষ্টকেই, কঠিন কোনও রোগভোগ এমনকি মৃত্যুকেও, শরণাগত হয়ে আছে যারা, বেটা, এ জন্মের নয়, মানুষের রোগ ভোগটা জানবি পূর্বজন্মের কৃতকর্মের ফল। যারা মনের মতো মানুষ তারা অন্যায় ও অপ্রিয় কাজ করলেও দেখবি এরা প্রিয় হয়ে থাকে, তুই কিছু বলতে পারবি না। ভগবানের রাজত্বে তা কিছুতেই হওয়ার উপায় নেই। তাঁর প্রিয় মানুষ অপ্রিয় বা অন্যায় কাজ করলে তার ফল ভোগ তাকে করতেই হবে। সেখানে কোনও ক্ষমা নেই।
সাধুবাবা হঠাৎ বললেন,
– জানিস বেটা, সংসারী মানুষরা ভগবানকে নিয়ে আলোচনা করে তিনভাবে। কথক পণ্ডিতরা দেখবি ভগবানকে নিয়ে নানান ধরনের সুন্দর ও মধুর আলোচনা করে ভগবানকে পাওয়ার বা অন্তরঙ্গতার জন্য নয়, স্রেফ অর্থের জন্য।
একশ্রেণির মানুষ আছে, তারা শুনেছে ভগবানকে নিয়ে আলোচনা করলে সংসারীদের কল্যাণ হয়, আলোচনাকারীর শান্তি আসে, এই ভাবে তারা আলোচনা করে ভগবানের।
বেটা আর একশ্রেণির মানুষ আছে যাদের উপরে ভগবানের একটা করুণাভরা অদৃশ্য আকর্ষণ রয়েছে বলে তারা মনে করে। এই মনে করাটা হল ‘সব কিছুই সুন্দর ও আনন্দময় হয়ে ওঠে তাঁর করুণায়’, এই ভাবনা অন্তরে কাজ করে বলে তারা তাঁরই আলোচনা করে।
এই পর্যন্ত বলে থামলেন। তাকালেন মুখের দিকে। জীবনে কোনও দিন কথা হয়নি অথচ অন্তরে ভালোবেসে ফেলেছি, এমন কারও দিকে কথা না বলে যে ভাষায় হাসি কথা বলে, হৃদয়ের সমস্ত কথা উজাড় করে দেয়, সেই ভাষাতেই হাসলেন একশো তেত্রিশ। বৃদ্ধের কথাগুলো মন দিয়ে শুনে অন্তরে সঠিকতা উপলব্ধি করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলাম। একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, প্রথম থেকে যতবার প্রণাম করেছি, ততবারই তিনি তাঁর আশির্বাদী হাতটা বুলিয়ে দিয়েছেন মাথায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। সংসারে ভগবানকে নিয়ে কারা কোনভাবে আলোচনা করে, সাধুবাবার এই কথাশুনে মনে পড়ে গেল ফেলে আসা একটা দিনের কথা। সম্ভবত ১৯৮০ সাল। বেলগাছিয়ায় দক্ষিণদাঁড়ি রেল কোয়াটারে তারাশঙ্করী পীঠের একটি অনুষ্ঠান। সারা ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উচ্চমার্গের সাধুসন্ন্যাসী ও মহন্তদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সাধুদের জন্য রান্না করা হয়েছিল ৫৬ রকমের নিরামিষ ভোগ। সৌভাগ্যক্রমে সাধু না হয়েও একমাত্র আমি নিমন্ত্রিত হয়েছিলাম সাধুভোজনে। ওই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন পুরীর গোবর্ধন মঠের প্রণম্য জগদগুরু শঙ্করাচার্য। অত্যন্ত রসিক ছিলেন তিনি। ভগবানের আলোচনাকারী তিনভাবের মানুষের কথা বলেছিলেন উত্তরকাশীর একশো তেত্রিশ। এই অনুষ্ঠানে জগদগুরু জানালেন তিনশ্রেণির ভক্তের কথা। হাসিমাখা মিষ্টিমুখে হাসতে হাসতে উপস্থিত ভক্তদের উদ্দেশ্যে বললেন,
– তিনশ্রেণির ভক্ত আছে সংসারে। এক, কিছু ভক্ত আছে যারা প্রায় সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। ধর্মের কথা শোনেন তবে এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেন। এরা ধর্মকথা শুনলেও তা মেনে চলেন না।
দুই, একশ্রেণির ভক্ত আছে যারা যেখানে যে ধর্মের অনুষ্ঠান ও কথা হয়, সেখানে যান, সমস্ত কথা শোনেন। ফিরে এসে বাড়ি থেকে শুরু করে গোটা পাড়া মাত করে দেন। এরা শুনে আসা ধর্মের কথা লোককে ডেকে ডেকে বলেন কিন্তু নিজে ধর্মের কথানুসারে চলেন না, কাজও করেন না অথচ লোককে করতে বলেন।
তিন, আর এক শ্রেণির ভক্ত আছে যারা বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মন দিয়ে ধর্মকথা শোনেন। ফিরে এসে কাউকে বলেন না কোথায় গিয়েছিলেন। এরা ধর্মকথা শুনে ধর্মের আচার পালন করেন এবং ধর্মানুসারে চলেন।