কলিযুগে শ্রীরাধিকার নূপুরধ্বনি শুনতে পেলেন উচ্চমার্গের সন্ন্যাসী
রাধার নূপুরধ্বনি কি শোনা যায় কলিযুগে? ধড়ফড়িয়ে উঠে বসতেই নূপুর ধ্বনি বন্ধ হয়ে গেল। এরপর জ্যোৎস্নার আলোয় যা দেখলাম তাতে হৃদপিণ্ড আমার কেঁপে উঠল।
১৯৭২, নভেম্বর মাসের কথা। তখন হরিদ্বারে বাপরে কি ঠান্ডা! এখন হরিদ্বারে শীতকালে তেমন ঠান্ডা পড়ে না। খুব ভোরবেলা রামঝোলায় পৌঁছেছি নীলকণ্ঠ মহাদেব যাব বলে। গীতাভবনের কাছে দেখছি কনকনে ঠাঠান্ডায় এক সাধুবাবা সামনে গঙ্গায় ডুব দিয়েই চলেছে। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। পা সরলো না। দেখলাম, প্রায় আধঘণ্টা বিরামহীন ডুব দিলেন। বুঝলাম, বেশ তাকত আছে সাধুবাবার। একে পাকড়াতে হবে। মাথায় উঠলো নীলকণ্ঠ মহাদেব যাওয়া। সাধুবাবার জল থেকে ওঠার অপেক্ষায় রইলাম।
একসময় সাধুবাবা উঠলেন। গা হাত পা মুছে নেংগটি ছাড়লেন। এসব দেখছি একটু দূর থেকে। এবার দেখলাম নেংটির উপর গায়ে একটা কালো আলখাল্লা পরলেন। একে সাধুদের ভাষায় পিরান বলে। এই পোশাক দেখে বুঝে গেলাম সাধুবাবা উদাসীন সম্প্রদায়ভুক্ত। এখন সাতসকাল। রামঝোলায় গায়ে কাঁটাফোটা ঠান্ডা। একটা লোক নেই দৃষ্টি সীমানায়। আমি সামনে উপস্থিত হয়ে প্রণাম করলাম পায়ে হাত দিয়ে। বাধা দিলেন না, মুখে কিছু বললেন না। সাধুবাবা হাঁটতে শুরু করলেন। আমি অনুসরণ করলাম। মিনিট দশেক হাঁটার পর একটা গাছের তলায় বসলেন ঝোলা থেকে আসন বের করে। আমি যে তাঁকে অনুসরণ করেছি তা তিনি বুঝেছেন কি বোঝেননি, তা আমি জানি না। সাধুবাবা যেখানে বসেছেন, গঙ্গা সেখান থেকে হাত কুড়ি দূরে। আবার প্রণাম করলাম। এবার মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করলেন। বললেন,
– বেটা, তুই কি কিছু বলবি বলে এখানে এলি?
হাতদুটো জোড় করে বললাম,
– বাবা, সাধুদের জীবন প্রসঙ্গে আমার কৌতূহলের সীমা পরিসীমা নেই। দু-চারটে জিজ্ঞাসা আছে। যদি দয়া করে উত্তর দেন তো বলি।
সাধুবাবা অসঙ্কোচে বললেন,
– বল না বেটা, কি জানতে চাস?
এবার অনেকগুলি কথা জিজ্ঞাসা করলাম একসঙ্গে, কারণ সাধুবাবা বিরক্ত হন, না খুশি হন, এটা বোঝার জন্য। বললাম,
– বাবা, আপনার পোশাক দেখে মনে হয়েছে আপনি উদাসীন সম্প্রদায়ের সাধু। এটা কি ঠিক? আপনার ডেরা কোথায়? এখন বয়েস কত? এখন আসছেন কোথা থেকে, এখান থেকে যাবেনই বা কোথায়?
কথা বলছি হিন্দিতে। সাধুবাবা অবাংলাভাষী। একগুচ্ছ প্রশ্ন শুনে একটু হাসলেন তবে বিরক্তির কোনও ছাপ দেখালাম না চোখেমুখে। সাধুসঙ্গ করে দীর্ঘদিন ধরে দেখেছি, হাসিতে যেন সাধুদের একচেটিয়া অধিকার। এতটুকু অরুচি নেই। এদের হাসি আবিলতামুক্ত। প্রাণখোলা হাসি। প্রাণের হাজার দুয়ার খোলা হাসি। জীবনে কোনওদিন কোনও সংসারীকে প্রাণখুলে হাসতে দেখিনি। আজ লিখতে বসে মনে হল, একমাত্র সাধুসন্ন্যাসীরাই যেন হাসতে শিখেছে, হাসতে পারে। গৃহীরা অক্ষম। সারা জীবন যখন যেখানে সাধুসঙ্গ করেছি তখন কোনও প্রশ্নমালা তৈরি করে প্রশ্ন করিনি। যখন মনে যে প্রশ্ন এসেছে সেটাই করেছি। আমার প্রশ্নের উত্তরে সাধুবাবা বললেন,
– বেটা তোর ধারণা ঠিক। আমি উদাসীন সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী। গুরুনানকজি এই সম্প্রদায়ের প্রবর্তক। আমার পাঞ্জাবীদেহ। নির্দিষ্ট কোনও ডেরা নেই। যখন যে তীর্থে যাই সেখানে কোনও আশ্রম-মন্দিরে থাকি। কোথাও গুরুদোয়ারা থাকলে সেখানেও উঠি। এখন আমার বয়েস বিরাশি। গৃহত্যাগ হয়েছে বারোতে। সপ্তাখানেক হল হরিদ্বারে এসেছি শ্রীরাধার নূপুরধ্বনি বিজড়িত বৃন্দাবন থেকে। এখান থেকে কোথায় যাব তা কিছু ভাবিনি, যেমন ভাবিনি এখানে আসব বলে।
সাধুবাবার ‘শ্রীরাধার নূপুরধ্বনি বিজড়িত বৃন্দাবন’ কথাটা শুনে মনে হল অত্যন্ত উচ্চমার্গের সন্ন্যাসী। একথার সূত্র ধরে পরে কথা বলব। প্রথমে বলি সাধুবাবাকে কেমন দেখেছি। বছরের পর বছর রোদেজলে পোড়াধোয়া দেহটা যেমন হয় তেমনই এর দেহ। তামাটে রং। মাথার জটা কোমর ছাড়িয়ে। ধবধবে সাদা দাড়ির মধ্যে দু-চারটে কালো। কপালে বলি রেখা জ্বলজ্বল করছে। সারাজীবন ভক্ত শিষ্যদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া তেল চুকচুকে দেহ যেমন হয়, এ দেহ তেমন নয়। একেবারে নির্মেদ পাতলা ছিপছিপে চেহারা। চওড়া ও প্রশস্ত কপাল। কপাল ছেড়ে প্রায় ইঞ্চি চারেক পর থেকেই শুরু হয়েছে জটাভার। দাড়িভরা গাল হলেও মুখের হনু দুটো বেরিয়ে আছে, ফলে চোখদুটো খানিকটা কোটরে। পাশে রাখা ঝোলাটা দেখে বাইরে থেকে মনে হল, নিতান্ত প্রয়োজনের কিছু জিনিসপত্র ছাড়া আর কিছু নেই। চেহারাটা এমন, দেখে মনে হয়না বিরাশি। এবার কথার সূত্র ধরে জিজ্ঞাসা করলাম,
– বাবা, আপনি বললেন বৃন্দাবনে রাধার নূপুর ধ্বনির কথা। আপনি কি তাঁর নূপুর ধ্বনি শুনেছেন? সত্যি কি রাধার নূপুর ধ্বনি শোনা যায় এই ঘোর কলিযুগে?
সাধুবাবাকে ধরে ফেলেছি বুঝতে পেরে কথার উত্তর এড়াতে নানান ধরনের কথা বলা শুরু করলেন। এই মুহুর্তে ঘুরিয়ে দিলাম কথার মোড়। জিজ্ঞাসা করলাম,
– বাবা অতবার করে এই ঠান্ডার মধ্যে জলে ডুব দিচ্ছিলেন কেন?
সাধুবাবা উত্তরে বললেন,
– বেটা, এটা সাধনার একটা অঙ্গ। যোগের একটা প্রক্রিয়াও বটে। এই প্রক্রিয়াতে দেহে কোনও রোগ থাকে না। এই বয়েসেও আমার এ দেহ নীরোগ জানবি।
সাধুবাবা এবার দু-হাঁটুতে হাত বোলাতে লাগলেন। আমি আসল খবর নেওয়ার জন্য বললাম,
– বাবা, কথাপ্রসঙ্গে আপনি বললেন শ্রীরাধার নূপুর ধ্বনির কথা। বৃন্দাবনে সত্যি কি তাঁর নূপুর ধ্বনি শোনা যায়? দয়া করে বলুন না বাবা, আপনার দুটো পায়ে ধরছি।
কথাটা বলে সাধুবাবার দুটো পায়ে হাত রাখলাম, আলতোভাবে হাতদুটো পা থেকে সরিয়ে দিলেন। এবার আর কথা ঘোরানোর চেষ্টা করলেন না। লক্ষ্য করলাম, তামাটে রঙের মধ্যে একটা জ্যোতির্ময় ভাব যেন ফুটে উঠল সাধুবাবার চোখেমুখে। তাঁর গুরুজি কিংবা রাধারানীর উদ্দেশ্যে হাত জোড় করে প্রণাম জানিয়ে বললেন,
– ভারতের বিভিন্ন তীর্থের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় তীর্থ হল শ্রীধাম বৃন্দাবন। প্রতিবছর আমি যেখানেই যাই না কেন, বৃন্দাবনে একবার আমি যাবই। আজ থেকে বছর দশেক আগের কথা। সে বার বৃন্দাবনে ছিলাম মাসাধিককাল। সারাদিন বিভিন্ন মন্দিরে ঘুরে বেড়াতাম। কখনও যেতাম রাধারানীর বাড়ি বরসানায়, কখনও গোকুলে। এভাবে দিন কাটালেও রাতে ঘুমতাম যমুনাজির বস্ত্রহরণ ঘাটে, ফুরফুরে বাতাসে। একদিনের কথা। তখন অনেক রাত, কটা হবে বলতে পারব না। আমার ঘড়িটড়ি নেই। হঠাৎ সুন্দর ও মিষ্টি নূপুরধ্বনিতে ঘুম ভাঙলেও চোখ খুলিনি। ধ্বনির শব্দটা আরও বেশি করে হতে হতে আমার মাথার কাছে এল। এবার আমি দেখার জন্য ধড়ফড়িয়ে উঠে বসতেই নূপুর ধ্বনি বন্ধ হয়ে গেল। এরপর জ্যোৎস্নার আলোয় যা দেখলাম তাতে হৃদপিণ্ড আমার কেঁপে উঠল। দেখি পায়ের কাছে একটা ফণাধরা সাপ যেন আমাকে ছোবলের অপেক্ষায়। আমি মুহুর্তে এক ঝটকায় সরে এলাম। এর কিছুক্ষণ পর সাপটা নেমে গেল যমুনার জলে। রাধারানীর অনন্ত করুণায় সে যাত্রা রক্ষা পেয়েছিলাম। নূপুর ধ্বনিতে ঘুম ভাঙিয়ে শ্রীরাধা আমার প্রাণরক্ষা করেছিলেন সেদিন।
এই পর্যন্ত বলে থামলেন। বৃদ্ধ বিরাশির কপোল বেয়ে নেমে এল অশ্রুধারা। অদৃশ্য কোনও দেবদেবীর উদ্দেশ্যে পিরান পরিহিত সাধুবাবা নমস্কার জানালেন বারবার। মনে মনে ভাবলাম, ধন্য সাধুবাবা, সার্থক জন্ম ও জীবন সাধনা তোমার। এরপর সকাল থেকে কি করেন, কিভাবে কাটছে তাঁর জীবন, দীর্ঘ জীবনে চলার পথে কোনও দুঃখ বা আনন্দ, ঈশ্বর সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি ইত্যাদি বিষয়ে কথা হল হাজার হাজার। কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলাম,
– বাবা, অনেককে বলতে শুনি, অমুক জায়গায় গরিবদের বস্ত্রদান করলাম, প্রচুর দুঃখীদের অন্নদান করলাম, এমন কথা হামেশাই শুনি। দান করলে সত্যি কি কোনও ফল হয়?
বেলা খানিকটা বেড়েছে। সময় কেটেছে ঘণ্টাদুয়েক। ঠান্ডার তীব্রতাও কমেছে অনেকটা, তবে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অমৃতধারাবাহী গঙ্গার স্রোতের তীব্রতা কিন্তু এতটুকুও কমেনি। সাধুবাবা বললেন,
– বেটা দান তিন রকমের। সাত্ত্বিক রাজসিক আর তামসিক। যার নেই, যেটা তার একান্ত প্রয়োজন, আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে সকলের অজ্ঞাতে আনন্দিত চিত্তে দেয়াকে সাত্ত্বিক দান বলে। দানের পর দাতার দান বিষয়ে মনে কোনও ভাবনা থাকবে না। এরকম সাত্ত্বিক দানের পর দাতার অন্তরে এক পারমার্থিক আনন্দরস ধারা বইতে থাকে, যা ক্রমে ক্রমে জাগতিক বন্ধন মুক্তির সহায়ক হয়। মনকে আবিলতামুক্ত করে ঈশ্বর সান্নিধ্যে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে সাত্ত্বিক দান। এমন সাত্ত্বিক দান করা মানুষের সংখ্যাই বিরলই বটে। (একটু থেমে) বেটা, নিজের সম্মান যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ঢাক ঢোল কাড়া নাকাড়া বাজিয়ে দানকে রাজসিক দান বলে। এ দানে তাৎক্ষণিক যশ কিছু হয় বটে তবে জাগতিক বা পারমার্থিক কল্যাণ কিছু হয় না। রাজসিক দানে অহঙ্কার বাড়ে। একটা লাভ হয়, মৃত্যুর পর দাতার জন্ম হয় ব্যাপক প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন ধনবান পরিবারে। সংসারে ধনবান যারা, জানবি আগের জন্মে তারা কিছু দিয়ে এসেছে।
আবার একটু থেমে সাধুবাবা ঝোলার উপর বাম হাতটা রেখে বললেন,
– বেটা, সামান্যতম স্বার্থসিদ্ধি, কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের দুর্ভোগ কাটানো কিংবা অন্যে করছে দেখে তাকে অনুসরণ করে দানকে তামসিক দান বলে। বাহ্যদৃষ্টিতে দান বলে মনে হলেও এটা দান বলে গ্রাহ্য হবে না। এতে দাতার দানে কোনও ফল বা কল্যাণ হয় না, খানিক আত্মতৃপ্তি লাভ হয়। শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দান করলে দেহ মনে সাত্ত্বিক ভাবের প্রস্ফুটন হয়। তা না হলে দানে কোনও ফল হয় না। দান করার পর সে কথা কাউকে বললে তাতেও দানের সুফল নষ্ট হয়।
এরপর নানা কথার ফাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম,
– বাবা আপনাদের সম্প্রদায় অনুসারে কালো পোশাক পরিধান করার প্রথা। শৈবরা অনেকে সাদা আবার অনেকে গেরুয়া পোশাক পরে। তবে সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রায় সমস্ত সাধুসন্ন্যাসীরা গেরুয়া বসন পরে। এই গেরুয়া বস্ত্রের সৃষ্টি হল কিভাবে এবং আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কি গেরুয়া বসন পরতে পারে?
একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছি দেখে এবার চোখের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলেন। ভাবটা এই, ‘তোর কি কথার শেষ নেই!’ আমিও আলতো হাসি দিয়ে জানালাম, ‘বাবা আর বেশি কথা বলব না।’ সাধুবাবা বললেন এমন একটা কথা, যা আমার জানা ছিল না, পরবর্তীকালে অন্য কোনও সাধুসন্ন্যাসীর মুখ থেকেও শুনিনি। তিনি বললেন,
– বেটা, ‘দুর্গামাঈ’-এর রজঃস্বলার রক্ত থেকেই সৃষ্টি হয়েছে গেরুয়া বসন। অত্যন্ত শুদ্ধ ও পবিত্র এই বসন। স্বয়ং নারায়ণ এই বস্ত্র পরিধান করেন। গেরুয়া বসনের শুদ্ধতার সীমা পরিসীমা নেই। কোনও সন্ন্যাসিনীর গেরুয়া বসন পরিধান করা অবস্থায় মনে বিন্দুমাত্র কামভাব জাগলে, যে কোনও সন্ন্যাসীর গেরুয়া বস্ত্র ধারণের পর ওই বস্ত্রে বীর্যপাত হলে তার অমঙ্গল অবধারিত। দেবলোক থেকে দেবদেবী আর পরলোকগত সাধক ও মহাপুরুষেরা অভিশাপ দিয়ে থাকেন। গেরুয়া বসনের অপবিত্রকারী সন্ন্যাসীদের দেখলে তুই বুঝে ও চিনে যাবি। এরা সাধুসন্ন্যাসী সমাজে থেকেও অপমানিত, হেয় ও অবহেলিত। তোর জিজ্ঞাসা ছিল, যে কেউ কি এই বস্ত্র পরিধান করতে পারে? এর উত্তরে বলি, বেটা, শুধু গেরুয়া কেন, জগতের সমস্ত জিনিসই ঠিকঠাক সময়ে উপযুক্ত হলে কেউ তা গ্রহণ করতে পারে। মনে রাখতে হবে যথার্থ সময় ও উপযুক্ততা গেরুয়া বসন গ্রহণের ক্ষেত্রে।
আরও অনেকক্ষণ অনেক বিষয় নিয়ে কথা হল। আজ আর মন চাইল না নীলকণ্ঠ মহাদেব দর্শন যেতে। প্রণাম করলাম। সাধুবাবা উঠে দাঁড়ালেন। মাথায় হাতদুটোবুলিয়ে দিলেন। দেখলাম সাধুবাবা দৈহিক উচ্চতায় প্রায় আমার মতো পাঁচফুট দশ ইঞ্চি তবে তাঁর মনের উচ্চতা আকাশ ছাড়িয়ে।