শুরু হল নতুন বঙ্গাব্দ ১৪২৩। বছরের প্রথম দিনে বর্ষবরণের রীতি যেমন পশ্চিমবঙ্গে পালিত হয়, তেমনই পালিত হয় বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে নববর্ষকে আবাহন মানেই ভোরে রমনার বটমূলে আবাহনী সঙ্গীত। এ রীতি আজকের নয়। বাংলাদেশে বর্ষবরণের সঙ্গে রমনার বটমূল ঐতিহ্যগতভাবেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। এবার বাংলাদেশ জুড়েই একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তাই বর্ষবরণকে নির্ঝঞ্ঝাটে মেটাতে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করেনি হাসিনা সরকার। ফলে এদিন অনেকটা পথ হাঁটতে হয়েছে মানুষজনকে।
২০০১ সালে বর্ষবরণের দিনে এখানেই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় নজনের মৃত্যু হয়। সেই স্মৃতি এখনও তাজা। তাই কোনও ঝুঁকি নেয়নি সরকার। এদিন দেশ জুড়েই বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রমরমা। রংবেরঙের অনুষ্ঠানে গোটা বাংলাদেশটাই হয়ে উঠেছিল রঙিন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষই সামিল হন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। নাচে, গানে, কবিতায়, আড্ডায় বাংলাদেশের বৈশাখী উৎসব এদিন এককথায় মন ভরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশবাসীকে।