বেকিং পাউডার বনাম বেকিং সোডা, কি করে চিনবেন, কোনটা কোন কাজে লাগে
দুই অতিপরিচিত সামগ্রি বেকিং সোডা আর বেকিং পাউডার। এর ব্যবহার হয়ত অনেকেই জানেন কিন্তু এটাও ঠিক অনেকেই রান্নার সময় বা কেনার সময় গুলিয়ে ফেলেন।
আজকাল শপিংমলে হাতে ট্রলি নিয়ে অনেক মহিলাই বেড়িয়ে পড়েন মাসকাবারি কিনতে। মুদির দোকানের চেয়ে শপিং মলে এখন সমস্ত রকমের খাবারের উপাদান অনায়াসলভ্য। নতুন কোনও পদ তৈরির পরিকল্পনা থাকলে তা বানানোর জন্য প্রায় সমস্ত উপাদান কিন্তু শপিং মলে রেডি প্যাকেজ।
দুই অতিপরিচিত সামগ্রি যা রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকে তা হল বেকিং সোডা আর বেকিং পাউডার। এর ব্যবহার হয়ত অনেকেই জানেন কিন্তু এটাও ঠিক অনেকেই রান্নার সময় বা কেনার সময় গুলিয়ে ফেলেন।
বেকিং সোডা আর বেকিং পাউডার প্রায় এক। বেক জাতীয় খাবারে বেকিং সোডা আর বেকিং পাউডার দুইই প্রয়োজন। খাবারকে নরম রাখতে বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হয়। খাবারকে ফোলানোর জন্য বেকিং সোডা কিন্তু অন্যতম উপাদান।
বেকিং সোডা হল পিওর সোডিয়াম বাই-কার্বনেট। চকোলেট, দই, বাটারমিল্ক-এর সঙ্গে বেকিং পাউডার মেশানো হয়ে থাকে। এই মিশ্রণের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড, যা খাবারকে ফুলতে সাহায্য করে।
তেমন বেকিং পাউডারেও সোডিয়াম বাই-কার্বনেট আছে। কিন্তু সেইসঙ্গে এতে আছে একধরনের স্টার্চ। মূলত লুচি বা কেক বা কুকিজ জাতীয় খাবার বানাতে বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার মিশ্রিত করা হয়। ফলে খাবার নরমও হয়, সাথে ফোলা ব্যাপারটাও থাকে।
মনে রাখার বিষয় হল, বেকিং সোডার পরিবর্তে বেকিং পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু বেকিং পাউডার এর পরিবর্তে কখনই বেকিং সোডা নয়। খাবারকে নরম ও সুন্দর দেখানোর জন্য বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে কুকিজ জাতীয় খাবারে বেকিং সোডা নির্দিষ্ট পরিমাণ দিতেই পারেন। অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট মাত্রাতেই রান্নায় ব্যবহার করতে হয়। বেশি পরিমাণ ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ একদম বদলে যেতে পারে।
সুতরাং বাজার থেকে দুইই কিনুন। তবে রান্নার কাজে ব্যবহারের আগে বাছাই করে নিন যে কোনটি কোন রান্নায় যাবে।