বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন রুইমাছের কবিরাজি
স্ন্যাকস টাইম-এর স্পেশাল মেনু হিসাবে রইল রুইমাছের কবিরাজি। কোনও ম্যারিনেট করার দরকার নেই। মাত্র ৪৫ মিনিটেই গরম গরম রুই কবিরাজি তৈরি।
বাঙালি জীবনের একটা অংশ জুড়ে আছে নানা ধরনের খাওয়া। মুখরোচক খাবার পেলে বাঙালির মন ভাল হয়ে যায়। দোকান থেকে এনে নানা মুখরোচক পদ তো খাওয়াই যায়।
কিন্তু সেই জিভে জল আনা ডিশই যদি বাড়িতে বানানো যায় তবে পরিমাণটা অনেক হয়। খরচও কম হয়। গরম গরম খাওয়াও যায়। খাওয়ানোও যায়। তেমনই এক মুখরোচক পদ কবিরাজি।
মাছ, মাংস নানা ধরনের কবিরাজি হয়। সবই বাঙালির খুব চেনা এবং অবশ্যই প্রিয় খাবার। আপনাদের জন্য রইল স্ন্যাকস টাইম-এর স্পেশাল মেনু হিসাবে রুইমাছের কবিরাজি। কোনও ম্যারিনেট করার দরকার নেই। মাত্র ৪৫ মিনিটেই গরম গরম রুই কবিরাজি তৈরি।
উপকরণ :
রুইমাছ – ৩৫০ গ্রাম (৫টি কবিরাজির জন্য), রসুন – ৪ কোয়া, পেঁয়াজ – ১টি মাঝারি সাইজের, আদা – ১/২ ইঞ্চি, গরমমশলার গুঁড়ো – পরিমাণমত, ভাজা মৌরি – পরিমাণমত, জিরে গুঁড়ো – পরিমাণমত, লেবুর রস – ১টি গোটা লেবুর, হিং – ১ চিমটি, ধনেপাতা – পরিমাণমত, কাঁচা লঙ্কা – পরিমাণমত, চিনি – ১ চামচ, নুন – পরিমাণমত, ডিম – ৪টে, বিস্কুটের গুঁড়ো – পরিমাণমত, কর্নফ্লাওয়ার – পরিমাণমত
প্রণালী :
প্রথমে রুইমাছ সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ মাছ থেকে কাঁটা বেছে পুরো মাছটা মেখে রাখুন। মিক্সিতে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, গরমমশলা, ভাজা মৌরি, জিরে গুঁড়ো, ধনেপাতা, চিনি একসঙ্গে পেস্ট করে নিন।
পেস্টটি থেকে জলীয়ভাব কাটাতে একটি কড়াইতে মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিতে হবে, কড়াইতে যাতে মিশ্রণটি আটকে না যায় সেজন্য সামান্য সাদা তেল দিয়ে দিতে হবে। কড়াইতে নাড়া পেস্টে এবার মাছ দিয়ে নেড়ে নিন।
মিশ্রণটি মাখা মাখা হয়ে গেলে এবং জল সম্পূর্ণ উবে গেলে ওটিকে ঠান্ডা করতে দিন। ঠান্ডা হলে তা দিয়ে মণ্ড বানান, যেমন ইচ্ছে আকার করতে পারেন, তবে মণ্ডটি খুব বেশি মোটা হবে না, মণ্ডগুলি পাশে সরিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে ৪টি ডিম ফেটিয়ে নিন। পাশে একটি থালায় একপাশে ময়দা বা কর্নফ্লাওয়ার রাখুন, অন্যধারে রাখুন বিস্কুটের গুঁড়ো।
পড়ুন : চাইনিজ সেজোয়ান সস দিয়ে জাপানি পনির পকোড়া – রেসিপি – অর্ক চক্রবর্তী
মণ্ডগুলি প্রথমে ডিমে চুবিয়ে তা কর্নফ্লাওয়ারের ওপর এপিঠ ওপিঠ করে মাখিয়ে ফের ডিমে ডোবান। সেটি নিয়ে বিস্কুটের গুঁড়োতে ওপর নিচ ভাল করে মাখিয়ে কাটলেটের আকার দিন। সবগুলি হয়ে গেলে এবার কড়াইতে বেশ কিছুটা সাদা তেল দিয়ে তা গরম করুন। মিডিয়াম আঁচে হাল্কা করে ভেজে তুলে রাখুন।
যে পাত্রে ডিম নিয়েছিলেন তাতে বাকি ডিমগোলাটিতে ৫ চামচ কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন যাতে কর্নফ্লাওয়ারের দানা না থাকে।
গরম তেলে প্রথমে হাতে করে কর্নফ্লাওয়ার ও ডিমের মিশ্রণ তেলের ওপর ছড়িয়ে দিতে থাকুন। এর ওপর একটি কাটলেট নিয়ে আলতো হাতে কড়াইয়ে ডিমের মিশ্রণের ঝুরির ওপর দিয়ে উল্টে দিন।
দেখবেন একদিকে ডিমের মিশ্রণটি ঝুরির মত লেগে গেছে। এবার একটু ভাজলে অন্যপাশটিতেও ঝুরি লেগে যাবে। ব্যস আপনার রুইমাছের কবিরাজি তৈরি।
পড়ুন : বাঁধাকপির মাঞ্চুরিয়ান – রেসিপি – অর্ক চক্রবর্তী
কবিরাজিগুলিকে একে একে ভাজার পর প্লেটে আলতো করে তুলে নিন। বেশি নাড়াচাড়া করলে ওপরের ঝুরির পরত নষ্ট হতে পারে।
প্লেটে দেওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি, টমেটো সস, কাসুন্দি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। নিজে খান, বাড়ির লোকজনকেও খাওয়ান। এমনকি বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদের নিমন্ত্রণ করে তাঁদেরও ঘরে তৈরি রেস্তোরাঁর মত কবিরাজি খাইয়ে তাক লাগিয়ে দিন। — রেসিপি ও ছবি — সরমা ভারতী