মকরসংক্রান্তি স্পেশাল : পুলির পায়েস – রেসিপি
জন্মদিন,অন্নপ্রাশন বা বাড়ির যেকোনও পূজাপার্বণ, পায়েস ওরফে পরমান্ন ছাড়া একেবারেই বিস্বাদ। মিষ্টি প্রিয় বাঙালির অন্দরমহলে পায়েসের খাতিরযত্ন তাই চিরকালীন।
জন্মদিন,অন্নপ্রাশন বা বাড়ির যেকোনও পূজাপার্বণ, পায়েস ওরফে পরমান্ন ছাড়া একেবারেই বিস্বাদ। মিষ্টি প্রিয় বাঙালির অন্দরমহলে পায়েসের খাতিরযত্ন তাই চিরকালীন। ভরা শীতের হিমেল হাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে পিঠেপুলির কথা। পৌষপার্বণের সঙ্গে পিঠেপুলির সম্পর্ক চিরন্তন। তাই পুলি আর পায়েসের মেলবন্ধনে পৌষপার্বণ জমিয়ে তোলাই যেতে পারে। মকরসংক্রান্তির শুভলগ্নে রইল ‘চুষির পায়েস’ বা ‘পুলির পায়েস’ তৈরির রেসিপি।
উপকরণ :
৪ জনের জন্য – ২৫০ গ্রাম চালের গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম ময়দা, ৫০ গ্রাম সুজি, ১ লিটার দুধ, ২৫০ গ্রাম চিনি, ৪-৫টি তেজপাতা, পরিমাণমতো জল, পরিমাণমতো নুন, ছোটো আধ চামচ ছোট এলাচের গুঁড়ো
প্রণালী :
১. প্রথমে এক কাপ মতো জল ঈষদুষ্ণ গরম করে নিতে হবে (প্রয়োজনে আরও একটু বেশি করে জল গরম করে রাখুন), একটা বড় পাত্রে চালের গুঁড়ো, সুজি ও ময়দা একসঙ্গে মাখিয়ে তাতে আঙুলের এক চিমটে নুন ফেলে দিন, একসঙ্গে উপকরণগুলিকে মেশান, এবারে আগে থেকে তৈরি ঈষদুষ্ণ জল পরিমাণমতো দিয়ে মিশ্রণটিতে মাখান, ভালো করে হাতের তালু দিয়ে ঠেসে মিশ্রণটিকে মণ্ডে পরিণত করুন, লক্ষ্য রাখবেন মণ্ডটি যেন নরম মোলায়েম হয়
২. মণ্ড থেকে ছোটো ছোটো বলের আকারে লেচি কেটে নিন, এবারে লেচিটিকে হাতের তালুতে রেখে হাল্কা করে চ্যাপ্টা আকার দিন, তারপর প্রদীপের সলতে যেমন করে পাকায় ওইভাবে চ্যাপ্টা লেচিকে আঙ্গুল দিয়ে পাকান, খেয়াল রাখবেন, লেচির মাঝখানটা হবে চ্যাপ্টা আর দুটি মাথা বা প্রান্ত হবে ছুঁচালো, একেই বলে চুষি বা পুলির ছোটো সংস্করণ
৩. এবারে বড় ডেকচি জাতীয় পাত্রে দুধ ভালো করে ফোটান, ফোটানোর সঙ্গে সঙ্গে ভালো করে জ্বাল দিন, কোনোভাবে যেন দুধ পাত্রের তলায় ধরে না যায়, দুধ একটু ঘন হয়ে গেলে তাতে তেজপাতা আর চিনি দিয়ে দিতে হবে, স্বাদ বাড়াতে দুধে বাতাসা বা মিছরিও দিতে পারেন, তবে ভুলেও গুড় দেবেন না, এতে চুষির পায়েসের দুধ কেটে যাবে, ভালো করে দুধ জ্বাল দিয়ে মিষ্টি ভালো করে মেশাতে হবে দুধের সঙ্গে, এরপর কাঁচা চুষিগুলোকে সাবধানে দুধে ঢেলে দিতে হবে, এরপর আরও ৫-১০ মিনিট ঢিমে আঁচে চুষিসহ পায়েসটাকে ভালো করে সাবধানে হাল্কা করে নাড়তে হবে, পায়েসে থকথকে ভাব এলে তাতে এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে আরেকটু পর নামিয়ে নিতে হবে
আর কি! এবার শুধু রসনা তৃপ্তির পালা। গরম বা ঠান্ডা, টাটকা বা বাসি, যেভাবে খুশি খান চুষির সুস্বাদু পায়েস।