সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি শিলমোহরের দাবিতে এলজিবিটি বিক্ষোভ দীর্ঘদিনের। এক এক করে অনেক দেশ এই দাবি মেনেও নিয়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতিও দিয়েছে। সেসব দেশে আইনসিদ্ধ সমলিঙ্গ বিবাহ। সেই তালিকায় নাম ছিল উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরের ওপর বারমুডা দ্বীপেরও। ব্রিটেন অধিগৃহীত দ্বীপটিতে ইউরোপীয় ভাবধারা মেনে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়েছিল আগেই। কিন্তু মূলগত সাংস্কৃতিক দিক থেকে বারমুডা রক্ষণশীল দেশ হিসাবেই পরিচিত। উত্তর আমেরিকার গোলাপি সৈকতের এই দেশের ভাবধারার সঙ্গে তাই খাপ খাচ্ছিল না সমলিঙ্গ বিবাহ আইন। ক্রমশ এই আইন ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছিল।
গত ডিসেম্বরে বারমুডার সেনেট এবং হাউস অফ অ্যাসেম্বলি, এই ২ আইনসভাতেই সমলিঙ্গ বিবাহ আইন প্রত্যাহার নিয়ে ভোটাভুটি হয়। আইন প্রত্যাহারের সপক্ষে বিপুল ভোট পড়ে। ফলে তা সহজেই পাস হয়ে যায়। তারপর গত বুধবার বারমুডার গভর্নর জন রানকিন ঘোষণা করেন এই দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সমলিঙ্গ বিবাহ আইন প্রত্যাহার করা হল। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বারমুডাই হল বিশ্বের প্রথম দেশ যারা সমলিঙ্গ বিবাহ আইন লাগু করেও প্রত্যাহার করে নিল। স্বভাবতই এই ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সে দেশের এলজিবিটি মানুষজন।