বড়দিনে পৃথিবী আনন্দ করল, অন্ধকারে শুধু যিশুর জন্মস্থান
বড়দিন মানেই বিশ্বজুড়ে আনন্দের বন্যা। আলো, ক্রিসমাস ট্রি, ক্যারল, হইচই, খাওয়া দাওয়া। সেই আনন্দ উৎসবে স্বয়ং প্রভু যিশুর জন্মস্থানই ডুবে রইল অন্ধকারে।
প্রভু যিশুর জন্মদিন হিসাবেই বড়দিন পরিচিত। তাই এ দিনটা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে বড়ই আনন্দের। সারাবছর তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন দিনটার জন্য। বড়দিনে তাঁরা তো বটেই, তবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে গোটা বিশ্বই মহানন্দে মেতে ওঠে। ক্রিসমাস ট্রি, আলোর বন্যা, খাওয়াদাওয়া, বেড়ানো, উৎসবে মেতে ওঠা, চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করার মধ্যে দিয়ে বড়দিনটা কাটান বিশ্ববাসী।
তবে যাঁর জন্মদিনকে সামনে রেখে এই উৎসব আয়োজন সেই প্রভু যিশুর জন্মস্থান বেথলেহেম শহরই রইল অন্ধকারে ডুবে। এমন বড়দিন বেথলেহেম কখনও দেখেনি। বড়দিনকে সামনে রেখে বেথলেহেম শহরে মানুষের তিল ধারণের জায়গা থাকেনা।
দোকানপাট থেকে হোটেল, কোথাও মাথা গোঁজার জায়গা পাওয়া যায়না। চার্চে ভিড় জমে। এখানেই রয়েছে চার্চ অফ নেটিভিটি। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এটাই সেই স্থান যেখানে প্রভু যিশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তাই বড়দিনে সেই জমি স্পর্শ করতে পারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছেই এক অনন্য প্রাপ্তি। তাই সব মিলিয়ে যে বেথলেহেম শহর বড়দিনে মানুষের ঢল আর আনন্দে মেতে থাকে সেখানে এবার মানুষের মুখ পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা।
পর্যটকের তো দেখাই নেই। হোটেলে কোনও অতিথি নেই। আলো জ্বলছে না কোথাও। ক্রিসমাস ট্রি কোথাও একটাও দেখা যাচ্ছেনা। দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ। একটা নিস্তব্ধ জনহীন শহর হয়ে বড়দিন কাটাল প্রভু যিশুর জন্মস্থান।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে প্রবল লড়াই শুরু হয়েছে তার ফল ভোগ করল বেথলেহেম। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের এই ধর্মীয় স্থানে এবার বড়দিনে এলেন না কোনও পর্যটক।
এই চরম পরিস্থিতিতে কেউই জীবনের ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। তাই এক একাকী শহর হয়ে বড়দিন কাটিয়ে দিল প্যালেস্টাইনের বেথলেহেম শহর।