সকালেই মিষ্টির দোকানগুলোতে কমবেশি ভিড় জমছিল। তবে তাকে উপচে পড়া বলা যায়না। কারণটাও সবার জানা। ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে যেসব সন্দেশ বা রসের মিষ্টির পশরায় মিষ্টির দোকানগুলো সেজে ওঠে তা সাজানো হয় বিকেলে। ভাইফোঁটায় মাঙ্গলিক বলে পরিচিত খাজাও সাজানো হয় বিকেলেই। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল নামতেই শহরের ছোট বড় সব মিষ্টির দোকানেই একে একে ভিড় জমাতে থাকেন ক্রেতারা। বলা ভাল বোনেরা। ভাইয়ের পছন্দের মিষ্টি খুঁজে কেনাটাও তাঁদের কাছে একটা উৎসবের আনন্দ হয়ে ওঠে।
শুক্রবার ভাইফোঁটা। কিন্তু তার আগের দিন বিকেল থেকেই শহরের বিভিন্ন কোণার মিষ্টির দোকানগুলোয় ভিড়ের উপচে পড়ার রেওয়াজ নতুন নয়। সোমবার বিকেলের পর সেই একই ছবি ধরা পড়েছে শহরের মিষ্টির দোকানগুলোয়। যত সূর্য পাটে গেছে ততই বাহারি মিষ্টির ট্রে বেড়েছে দোকানে দোকানে। সেই সঙ্গে চড়েছে কেনাকাটার পারদ। ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে অনেক নতুন নতুন মিষ্টি জায়গা পায়। ফলে যে দোকানে সারা বছর মিষ্টি কেনার সময় বিশেষ কোনও মিষ্টির দেখা মেলেনা। ভাইফোঁটার আগের দিন সেই মিষ্টিই নজর কাড়ে। মানে যাকে বলে ভাইফোঁটা স্পেশাল। এখন আবার ফিউশন মিষ্টির যুগে অভিনবত্ব আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে দোকানের সব কর্মচারি পুরোদমে ক্রেতাদের ফরমাস শুনেও কুলিয়ে উঠতে পারেননি। তবু এই মিষ্টি কোনার ঐতিহ্য আজও অমলিন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভাইফোঁটায় মিষ্টির দোকানে বোনেদের হুড়োহুড়ি বাঙালির আদি ঐতিহ্যেরই ধারক এবং বাহক হয়ে থেকে যায়।