সূর্য ডুবলে এ দুর্গের ধারেকাছেও যাওয়া মানা, রাত নামলে কি হয় এখানে
এশিয়ার সবচেয়ে ভূতুড়ে জায়গা এটি। সূর্য পশ্চিমে ঢলে গেলে এ দুর্গের ত্রিসীমানার মধ্যে মানুষের আসা মানা। সকালেও অনেকের গা ছমছম করে এখানে।
দুর্গটি অবস্থিত পাহাড়ের ঢালে। ঢাল বেয়ে নেমেছে দুর্গের বিভিন্ন অংশ। ষোড়শ শতাব্দীতে এই দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল। তখন এখানে গমগম করত রাজপরিবারের বৈভব। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবেরই শেষ হয়। একাকী পড়ে থাকে দুর্গ।
দুর্গের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে ঠিকই, তবে তার রক্ষণাবেক্ষণে কোনও খামতি রাখে না আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই এএসআই-এর তরফ থেকেই এ দুর্গের প্রবেশদ্বারে একটি বড় বোর্ড লাগানো রয়েছে।
বোর্ডে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে তাঁরা যেন সূর্য ডোবার পর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত এ দুর্গের ধারেও না আসেন। একেবারে সরকারিভাবে সন্ধে নামার পর এখানে আসা মানা।
এশিয়ার সবচেয়ে ভৌতিক স্থান হিসাবে এই দুর্গ তালিকার প্রথমে রয়েছে। রাজস্থানের আলোয়ার জেলায় আরাবল্লী পর্বতমালার পাহাড়ের ঢালে রয়েছে এই ভানগড় দুর্গ। যে দুর্গে সন্ধে নামলে শুরু হয় নানা ভৌতিক কার্যকলাপ। এমনই কথিত রয়েছে।
কথিত আছে এখানে যদি কেউ ভুলেও সন্ধেয় ঢুকে পড়েন বা সন্ধের আগে এখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে তাঁকে আর কখনওই খুঁজে পাওয়া যায়না। এ দুর্গ সন্ধের পর এতটাই ভৌতিক যে এখানে রাতে যে ঠিক কী কী হয় তার পুরোটা জানা যায়নি।
তবে সকালের দিকে অনেক পর্যটক হাজির হন এখানে। যত না তাঁরা দুর্গ দেখতে হাজির হন, তার চেয়ে বেশি হাজির হন সকালেও এমন কোনও ভৌতিক অস্বাভাবিক অনুভূতি হয় কিনা তা অনুভব করতে।
অনেক পর্যটকই জানিয়েছেন, সকালেও দুর্গের অনেক জায়গায় তাঁদের মনে হয়েছে কারা যেন তাঁকে ঘিরে ফেলেছে। কিন্তু কাউকে দেখা যায়নি।
আশপাশে অন্য কিছু থাকার একটা অনুভূতি হলেও চারিদিক ফাঁকা। দুর্গে ঘুরতে ঘুরতে সকালেও গা ছমছম করেছে, এমন একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়েছে অনেকের।
রাতের অন্ধকারে এ দুর্গে যে ঠিক কী ঘটে তা কারও জানা নেই। তবে নানা কাহিনি স্থানীয়দের মুখে মুখে ঘোরে। যা শুনলে ভয়ে মানুষের রোম খাড়া হয়ে যেতে পারে। এমনই এক ভয়ংকর ভৌতিক দুর্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাজস্থানের ভানগড় দুর্গ।