মুকুল রায় ও অর্জুন সিংয়ের মধ্যে দ্বৈরথ ২ জনেই যখন তৃণমূলে ছিলেন তখন থেকেই সর্বজনবিদিত। সেই মুকুল রায়ের হাত ধরেই বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসাবেই পরিচিত অর্জুন। দিল্লিতে এদিন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁকে বিজেপির উত্তরীয় পরিয়ে দলে সামিল করেন।
মুকুল রায় এদিন হাসি মুখেই জানান বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন তাঁর কাছে মহাভারতের অর্জুনের সমকক্ষ। সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরার মত এক এক করে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার এই হিড়িক আগামী দিনেও বজায় থাকবে। মুকুলের মতে, এতো সবে ট্রেলার, সিনেমা এখনও বাকি।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় অর্জুন সিং জানান, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর যখন পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এয়ার স্ট্রাইক করান তখন সেই এয়ার স্ট্রাইকে জঙ্গিদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তার প্রমাণ চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টি তাঁকে ব্যথিত করে। এরপর আর তৃণমূলের সঙ্গে থাকা যায়না বলে মনে করেন অর্জুন। তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান মা, মাটি, মানুষের ৩টি এম এখন কেবল মানি, মানি ও মানিতে পরিণত হয়েছে বলেও দাবি করেন অর্জুন।
যদিও তৃণমূলের অন্দরমহল অন্য কথা বলছে। তৃণমূলের একাংশের দাবি আসলে অর্জুন সিং ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর গত মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশে দেখা যায় সেই তালিকায় ব্যারাকপুর আসনের জন্য ওখানকার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর নামই রয়েছে। তাঁর নাম না থাকাটা মেনে নিতে পারেননি অর্জুন সিং। তাই তার ২ দিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগদান করলেন তিনি। এমনও শোনা যাচ্ছে ওই ব্যারাকপুর কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী হতে চলেছেন অর্জুন।