প্রথম দফায় ১৮৪ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৭ জন প্রার্থীর নামও ছিল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সাংসদ থেকে বিধায়ক বা নেতা, সকলেই এবার প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূলের ২ সাংসদ অনুপম হাজরা ও সৌমিত্র খান তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেলেন। সৌমিত্র খান বাঁকুড়া থেকে বিজেপি প্রার্থী। অনুপম হাজরা যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী।
সদ্য বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং পেয়েছেন ব্যারাকপুর আসন। সূত্রের খবর, এই ব্যারাকপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিপাঠীর জায়গায় তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল নেতৃত্ব তাতে রাজি না হওয়াতেই দল ছাড়েন অর্জুন। তারপর বিজেপি তাঁকে ওই আসন থেকেই প্রার্থী করল।
একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতিঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের সঙ্গে মমতার সম্পর্কের অবনতির পর ভারতী ঘোষকে পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ভয় দেখিয়ে সোনা লুঠের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সিআইডি। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজলেও ভারতী ঘোষের হদিস পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেন ভারতী ঘোষ। তারপর এদিন বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম দেখা গেল। ঘাটালে চিত্রতারকা তৃণমূল প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করল বিজেপি।
এছাড়া মেদিনীপুর থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কলকাতা উত্তর থেকে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, হুগলি থেকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম থেকে দুধকুমার মণ্ডল, দমদম থেকে শমীক ভট্টাচার্য, আলিপুরদুয়ার থেকে জন বার্লা, বসিরহাট থেকে সায়ন্তন বসু, কলকাতা দক্ষিণ থেকে চন্দ্র বসু, আসানসোল থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করা হয়েছে। এদিন রাজ্যের ২৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)