সকাল থেকেই দিল্লিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাসগৃহের প্রতিটি ঘর ক্রমশ ভরে উঠছিল কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটি পুরসভার কাউন্সিলরদের ভিড়ে। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানরাও। তৃণমূল পরিচালিত ৩ পুরসভার রাশ যে এবার বিজেপিতে যেতে চলেছে তা বেশ পরিস্কার ছিল এদিন। ঘর ভর্তি কাউন্সিলররা সকলেই জানান দিল্লিতে তাঁরা এসেছেন বিজেপিতে যোগ দিতে।
বিকেলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে সকলেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। সকলেই গলায় পরে নেন বিজেপির পদ্মফুলের ছাপ দেওয়া উত্তরীয়। স্লোগান ওঠে জয় শ্রীরাম, ভারতমাতা কি জয়। তাঁরাও কণ্ঠ মেলান। বুঝিয়ে দেন তাঁরা আগামী দিনে বিজেপির আদর্শেই চলবেন।
মুকুল রায় জানান, কাঁচড়াপাড়া পুরসভায় রয়েছে ২৪টি আসন। যেখানকার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৭ জন কাউন্সিলর এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। নৈহাটি পুরসভায় রয়েছে ৩১টি আসন। যারমধ্যে ২৯ জন কাউন্সিলর এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। হালিশহর পুরসভায় ২৩টি আসন রয়েছে। যারমধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৭ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। ফলে সব মিলিয়ে ৬৩ জন কাউন্সিলর এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। একদিনে একসঙ্গে এতজন কাউন্সিলরের এভাবে কোনও দলে যোগদান এর আগে তেমন দেখা যায়নি। এদিন মুকুল রায় জানিয়ে দেন এবার থেকে হালিশহর, কাঁচড়াপাড়া ও নৈহাটি পুরসভার দখল চলে এল বিজেপির হাতে।
মঙ্গলবার কাউন্সিলরদের পাশাপাশি ৩ জন বিধায়কও বিজেপিতে যোগ দেন। যারমধ্যে রয়েছেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। এছাড়া ভাতার, খানাকুলের মত জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি থেকেও এদিন বিজেপিতে বেশ কয়েকজন যোগ দেন। এদিন সকলে হাতে হাত ধরে একসঙ্গে বিজেপি যোগদানের কথা জানান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা