তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। গত মঙ্গলবার তৃণমূলে বড় ধরণের ভাঙন ধরানোর পর বুধবারও তা অব্যাহত। বুধবার দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে ৪ তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেন। যাঁদের মধ্যে ১ জন আবার বিধায়ক। সকলেই বীরভূমের তৃণমূল নেতা ছিলেন। ঘনিষ্ঠ ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের। সেই অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকেই এবার ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি।
বুধবার বিজেপিতে যোগ দেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। মণিরুল সেখানকার দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত। এছাড়া নানুরে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নানুরের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। এখন তিনি বীরভূমের যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বীরভূম যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালও এদিন বিজেপির উত্তরীয় পড়ে নেন। তৃণমূল নেতা নিমাই দাসও এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বীরভূমের ৪ নেতার এভাবে বিজেপিতে যোগদান অনুব্রত মণ্ডলের চিন্তার ভাঁজ পুরু করল কি? এটা এখন বড় প্রশ্ন। কারণ বীরভূমের ২টি লোকসভা কেন্দ্রই জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু এভাবে নেতারা যদি গেরুয়া শিবিরে চলে যেতে থাকেন তবে তো সংগঠনই দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন কী নিজের গড় রক্ষা করতে পারবেন অনুব্রত? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহলই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা