এমনিতেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির পায়ের তলার মাটি এখন বেশ শক্ত। সেই শক্ত মাটিকে আরও একটু শক্ত করল কালচিনির তৃণমূল বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারির বিজেপিতে যোগদান। সোমবার দিল্লিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, রাজ্যের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ-এর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন উইলসন চম্প্রমারি। এছাড়া এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। ১৮ সদস্যের জেলা পরিষদে এদিনের পর শক্তিশালী বিজেপি। বিজেপির দখলেই চলে গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ। যোগ দেন বিপ্লব মিত্রের মত নেতাও। এঁরা সকলেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।
উইলসন চম্প্রমারি সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্যদের এদিন বিজেপির উত্তরীয় ও দলের সদস্যপদ দিয়ে বিজেপিতে স্বাগত জানান কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়। পরে মুকুল রায় বলেন ১টি জেলা পরিষদ বিজেপির হয়ে গেল। বাংলার রাজনীতিতে ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। ৭ দফায় বিজেপিতে যে যোগদান পর্বের কথা আগে ঘোষণা করেছিল বিজেপি, তার প্রথম পর্যায়েরই এটা প্রলম্বিত অধ্যায় বলে ব্যাখ্যা করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফলে এখন ৬ দফা যোগদান বাকি।
মুকুল রায় বলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান চলছে। ৭ দফায় যোগদান হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই ৭ দফায় যোগদান যেদিন শেষ হবে সেদিন তাঁর দাবি মমতার সরকার আর বাংলায় থাকবে না। এদিন যোগদান পর্বের শেষে সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন। এদিন যেভাবে উইলসন চম্প্রমারির মত নেতা বা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১০ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেন তাতে তা তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।