একসময়ে সল্টলেক রাজারহাট এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত মঙ্গলবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। সেইসঙ্গে শেষ হল সব জল্পনার। কখনও মুকুল রায়ের তাঁর বাড়িতে আগমন। কখনও তাঁর মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করে পরোটা খাওয়া। এসব চলছিল। দেওয়াল লিখনটাও পরিস্কার পড়তে পারছিলেন সকলে। তবে মুকুল রায় বা সব্যসাচীর কেউই সরাসরি বলছিলেন না যে সব্যসাচী দত্ত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। ফলে বিজেপিতে যোগদানের দিনটা কবে হয় সেই অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। অবশেষে মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত।
সব্যসাচীর বিজেপি যোগদানের দিনটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণও। কারণ বিজেপির চাণক্য এদিন উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠান মঞ্চে। অমিত শাহ শহরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি জন জাগরণ সভায়। আর সেখানেই সব্যসাচী দত্ত যোগ দিলেন বিজেপিতে। অমিত শাহকে সাক্ষী রেখে। এদিন সব্যসাচী দত্তের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর অমিত শাহকে প্রণাম করতে এগিয়ে যান সব্যসাচী। তাঁকে ধরে নেন অমিত শাহ। জড়িয়ে ধরেন। একের পর এক ছবি উঠতে থাকে। এক ফ্রেমে বন্দি হলেন অমিত শাহ ও সব্যসাচী দত্ত। এর আগেও তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু সব্যসাচী দত্তের মত এত বড় মাপের অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যোগদান এই প্রথম হল।
বিজেপিতে যোগদানের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন সব্যসাচী দত্ত। এরপর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার জন্য দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কাছে আর্জি জানান তিনি। কাশ্মীরে ৩৭০ বিলোপ থেকে শুরু করে বিদেশের মাটিতে ভারতের মাথা উঁচু করা। সব কিছু নিয়েই বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি বেশ চড়া সুরেই বলেন, বাংলাকে পাকিস্তান করার চেষ্টা চলছে। তা রুখতে এনআরসি-র প্রয়োজন রয়েছে।