হরিয়ানা বিধানসভায় ৭৫টি আসন নিয়ে জয়লাভ করবেন তাঁরা। এই আত্মবিশ্বাসকে ফলাও করে প্রচার করেও আদপে হরিয়ানায় ৪০টি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে মনোহর লাল খট্টরকে। ২০১৪ থেকে তিনিই ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজে এবং তাঁর মন্ত্রিসভার মাত্র ১ জন মন্ত্রী জিতলেও বাকিরা হেরেছেন। সব মিলিয়ে বিজেপি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে হরিয়ানায়। ভোটের পর দেখা গিয়েছে সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ৪৬টি আসনও তাদের হাতে নেই। ৬টি আসন তখনও দরকার।
ফলাফল পরিস্কার হওয়ার পরই বিজেপি নেতৃত্ব জয়ী নির্দল বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। অন্যদিকে কংগ্রেসও ভূপিন্দর সিং হুডার নেতৃত্বে সরকার গড়ার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। যদিও এই আলাপ আলোচনায় এগিয়ে যায় বিজেপিই। ৮ জয়ী নির্দল বিধায়কই শেষ পর্যন্ত খোলাখুলি জানিয়ে দেন তাঁরা বিজেপিকেই সরকার গড়ার জন্য সমর্থন দেবেন। দরকার ছিল ৬ বিধায়কের সমর্থন। পাওয়া গেল ৮ বিধায়কের। ফলে মনোহর লাল খট্টরের রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার প্রস্তাব রাখায় আর কোনও সমস্যা রইল না।
কংগ্রেস অবশ্য দাবি করছে এখনও তাদের সঙ্গে অন্য দলের বিধায়কদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। যদি তাঁরা সমর্থন দেন তাহলে সরকার গড়বে তাদের জোট। এক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন জননায়ক জনতা দলকে নিয়ে। তারা কোন দিকে যেতে চাইবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে কংগ্রেস একটা কথাকে বারবার সামনে আনছে। তাদের দাবি, হরিয়ানার মানুষ বিজেপিকে চাইছেন না। তা তাঁরা ভোটে বুঝিয়েও দিয়েছেন। ২২ শতাংশ ভোট কমেছে বিজেপির। এই অবস্থায় বিজেপিকে সমর্থন দিয়ে যাঁরা বিজেপিকে ফের সরকার গড়ার রাস্তা করে দেবেন তাঁদের ক্ষমা করবেন না হরিয়ানার মানুষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা