হরিয়ানার জাঠ বলয়ে এবার কামাল দেখিয়েছে জাঠ নেতা দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি। ১০টি আসন তাদের দখলে রয়েছে। শুক্রবার সকালেও তরুণ নেতা দুষ্মন্ত জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে কংগ্রেস, বিজেপি কেউই অচ্ছুৎ নয়। আর তারপরই দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁকে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে নিয়ে যান অনুরাগ ঠাকুর। সেখান থেকে বেরিয়ে জেজেপি নেতা জানিয়ে দেন বিজেপিকে সমর্থনে তাঁর আপত্তি নেই।
জেজেপি রাজি না হলেও যাতে হরিয়ানায় তাঁদের সরকার গড়তে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য নির্দল ৮ বিধায়ককে আগেই নিজেদের দিকে টেনে নেন অমিত শাহ। তারপর বসেন জেজেপির সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা এতে দর কষাকষিতে বিজেপির সুবিধাই হয়। নিরুপায় হয়ে জেজেপির সঙ্গে জোট গঠন করতে হচ্ছে এমন অবস্থা ছিলনা। তবে এদিন জেজেপির সঙ্গেও জোট গড়ে নেয় বিজেপি। এবার নির্দলরা যদি বেঁকেও বসেন তাতেও অসুবিধা নেই। আবার জেজেপি মাঝপথে বেঁকে বসলেও নির্দলদের ভরসায় সরকার বাঁচিয়ে নেবে বিজেপি। তবে জেজেপির সঙ্গে জোট করতে গিয়ে তাদের উপমুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছে বিজেপিকে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর থাকলেও উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন দুষ্মন্ত চৌটালা।
বিজেপি দর কষাকষিতে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় কংগ্রেস অনেক ভাল ফল করেও হরিয়ানায় কোণঠাসাই হয়ে গেল। বিরোধী আসনে তারা একাই বসবে। কারণ বাকি বিজেপি বিরোধী বিধায়কেরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফেলেছেন। কংগ্রেস অবশ্য বলছে হরিয়ানার মানুষ বিজেপিকে চাইছেন না। তা তাঁরা ভোট বাক্সে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিজেপিকে যারাই সমর্থন দেবে তারাই মানুষের চক্ষুশূল হবে। যদিও কংগ্রেসের এমন মন্তব্যে গুরুত্ব দেননি জেজেপি বা নির্দল বিধায়কেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা