হারলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালও, দিল্লিতে গেরুয়াঝড়, ধরাশায়ী কংগ্রেস
দিল্লিতে গেরুয়াঝড়ের সম্ভাবনার কথা আগেই এক্সিট পোলে দেখা গিয়েছিল। এদিন গণনা শুরুর পর থেকেই সব পরিস্কার হয়ে যায়। দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি।

দিল্লি বিধানসভার ফলাফলের দিকে এদিন সকাল থেকেই নজর ছিল গোটা দেশের। এদিন সকালে গণনা শুরুর পর থেকেই গেরুয়া ঝড়ের একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হতে থাকে। বেলা যত গড়িয়েছে ততই পিছনে পড়তে থেকেছে আম আদমি পার্টি।
খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল পর্যন্ত সকালে গণনা শুরুর পর থেকেই পিছিয়ে পড়েন। নয়া দিল্লি কেন্দ্রে শেষে পরাজয় স্বীকার করতে হয় আপ সুপ্রিমোকে। এটা অবশ্যই বড় ধাক্কা আপের জন্য।
হেরেছেন মণীশ সিসোদিয়াও। জংপুরা কেন্দ্র থেকে হারতে হল তাঁকে। আপ-এর সেকেন্ড ইন কমান্ড ধরা হয় তাঁকে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জায়গায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছিল অতিশী মার্লেনাকে। তিনি আপের এই দুর্দিনেও দলের মুখ রক্ষা করেছেন। তিনি জিতেছেন কালকাজি কেন্দ্র থেকে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে তাঁর দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যে ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে তা অনুমেয় ছিল। তবে এমন ধরাশায়ী অবস্থা হবে আপের তা অনেকে ভাবতে পারেননি।
দিল্লিবাসী এবার বিজেপিতে ভরসা রেখেছেন। বিজেপির প্রচারে ডবল ইঞ্জিন সরকার জায়গা পেয়েছিল। আর তা যে এবার পরখ করে দেখতে চাইছেন দিল্লিবাসী তাও পরিস্কার।
৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ছিল ৩৬। কিন্তু বিজেপি ৪৭টি আসন দখল করতে সমর্থ হয়। আপ জেতে ২৩টি আসনে। দিল্লিতে এবারও ধরাশায়ী কংগ্রেস। ১টা আসনও না পাওয়ায় দিল্লিতে খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস।