Festive Mood

দুপুরে চোদ্দশাক, সন্ধেয় চোদ্দবাতি

বিশ্বজুড়ে হ্যালোউইন পালিত হয়েছে কদিন আগেই। সে ছিল বিশ্ব জুড়ে ভূতের উৎসব। তবে বাংলার নিজস্ব ভূত দিবস রয়েছে। যাকে সকলে চেনেন ভূতচতুর্দশী নামে। গত সোমবার অনেকে ভূতচতুর্দশী মেনে চোদ্দশাক খেয়েছেন। তবে তিথি মেনে ভূতচতুর্দশী মঙ্গলবারই। ফলে এদিনও বাড়িতে বাড়িতে চোদ্দশাক খাওয়ার ধুম। সঙ্গে সন্ধে নামলেই সারা ঘর জুড়ে চোদ্দ বাতি দেওয়া।

আলোর উৎসবে এই ভূতচতুর্দশীর মাহাত্ম্য আলাদা। এখন আবার সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভূতচতুর্দশীর শুভেচ্ছাও আসে! আসে কার্টুন, ভৌতিক ছবি। তবে সব মিলিয়ে এদিন কিন্তু বাঙালির দুপুরের পাতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণই ছিল চোদ্দশাক।


চিরকালই কালীপুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশী দিয়েই শুরু হয় বাঙালির দীপাবলি। চতুর্দশীর সকালে বাড়িতে চোদ্দ রকম শাকের মিশ্রণ আসত বাজার থেকে। তারপর মধ্যাহ্নভোজনের পাতে শুরুতেই পড়ত চোদ্দশাক ভাজা। এর নানা ব্যাখ্যা ছিল। অনেকে বলত এদিনে নাকি ‘তেনারা’ সন্ধের পর জাগ্রত হন। তাই তাঁদের হাত থেকে দূরে থাকতে চোদ্দশাক আবশ্যিক। বংশের চোদ্দপুরুষের উদ্দেশ্যে চোদ্দ বাতি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে হত আলোর উৎসবের সূচনা। চতুর্দশীর সন্ধে মানেই বাড়ি বাড়ি জ্বলে উঠবে বাতি। গুনে গুনে ১৪টা। এটাই আম বাঙালির ভূতচতুর্দশী। যার হাত ধরেই কালীপুজোর উৎসব আনন্দ তার গিয়ার বদলায়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button