বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করলেন বিধাননগরের ৩৫ জন কাউন্সিলর। বিধাননগর পুরনিগমে ৪১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। যারমধ্যে ৩৯ জনই তৃণমূল কাউন্সিলর। তারমধ্যে ৩৫ জন কাউন্সিলর এদিন সই করেন সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে। ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় সই সংগ্রহ করে পুরনিগমের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কাছে জমা দেন। পরে কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, তিনি ওই অনাস্থার চিঠি পেয়েছেন। এবার পুর আইন মেনে সবকিছু হবে। ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে একটি বোর্ড মিটিং হবে। তারপর ভোটাভুটির একটি দিন ঠিক হবে। সেখানে ভোটে অনাস্থা নিশ্চিত হলে সব্যসাচী দত্ত আর মেয়র থাকবেন না। নতুন মেয়র নির্বাচন করা হবে। যেটুকু শোনা যাচ্ছে যে আগামী ১৮ জুলাই ভোটাভুটির দিন ধার্য হতে পারে।
বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত দল বিরোধী কাজ করছেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। তাঁর জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একথা শেষ কদিনে বারবার জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্তের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও প্রকাশ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। সব্যসাচী দত্তকে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথাও প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। যদিও সব্যসাচী দত্ত বারবারই জানিয়েছেন তিনি তৃণমূলেই আছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা চলতেই থাকে। তারপর গত রবিবার তৃণমূল ভবনে বিধাননগরের দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের পুর মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তৃণমূল ভবনে বৈঠকের পরই মোটামুটি একটা ইঙ্গিত মিলেছিল সব্যসাচী দত্তের মেয়র পদে থাকা আর বেশিদিন নয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও মেনে নিচ্ছিলেন দল যেভাবে বিরক্ত তাতে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের খাঁড়াও নেমে আসতে পারে। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে সব্যসাচীবাবু নিরুত্তাপই ছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা পুরোটাই স্নায়ুর লড়াই। দল তাঁকে বিতাড়িত করেন, নাকি তিনি দল ছাড়েন তার দড়ি টানাটানি চলছে।