রাজার অতিথিরা সব ফেলে খেতে থাকলেন, জন্ম নিল জনপ্রিয় মুখরোচক
এখন এই বস্তুটি খেতে পছন্দ করেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তবে এর জন্ম হয়েছিল রাজ পরিবারে। তাও কতক কাকতালীয় ভাবেই।
রাজা নিজে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সম্মানীয় অতিথিরা হাজির হলেন রাজপ্রাসাদে। সেখানে এলাহি খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। অতিথিদের খাওয়ানো তো হবে, কিন্তু চেনা খাবারে তো চমক নেই। সেসব খাবার তাঁরা আগেও খেয়েছেন।
তাহলে চমক কীভাবে দেওয়া যাবে? রাজ পরিবারের খাস রাঁধুনি ভাবতে বসলেন নতুন কি করা যায়। অবশেষে মাথায় এল একটা আইডিয়া। কিন্তু সে খাবার আদৌ অতিথিদের মন ভরাতে পারবে তো?
প্রশ্নটা থেকেই গেল। তবে না পরিবেশন করলে তো বোঝা যাবেনা। তাই নেহাতই সাধারণ এক ভাজার জন্ম হল হেঁশেলে আর তা সেদিন পরিবেশিত হল রাজস্থানের বিকানের-এর রাজা দুঙ্গার সিংয়ের ভোজে।
খুব কেরামতি কিছু নেই। এক ধরনের ভাজা। তা পরিবেশিত হওয়ার পর কিন্তু আশ্চর্য হয়ে গেলেন রাঁধুনি। রাজা থেকে শুরু করে রাজার অতিথি, সকলেই সে ভাজা চেয়ে খেতে শুরু করলেন। আর খেতেই থাকলেন।
পড়ে রইল এলাহি ভোজের আয়োজন। অন্যান্য পদ। শুধু এক ভাজা খেয়েই সকলে পেট ভরিয়ে ফেললেন। কিন্তু তা খাওয়ার সাধ তাঁদের যেন মিটল না।
খাবারটি আর কিছুই নয়, এখন যাকে সকলে ভুজিয়া বলে চেনেন সেটাই। বেসনের সঙ্গে নানা ধরনের সুস্বাদু মশলা মিশিয়ে তারপর তেলে ভেজে তৈরি হয়েছিল সেই ভুজিয়া।
সেই জন্ম নিল আজকের জনপ্রিয় খাবারটি। সেটা ছিল ১৮৭৭ সাল। তারপর অবশ্য বিভিন্ন সময়ে ভুজিয়া তার ধরণ বদলেছে। কিন্তু তা আবিষ্কার হল সেই বিকানের-এর রাজপ্রাসাদেই।