গঙ্গার ঘাটে বিজেপির শহিদ তর্পণ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
গঙ্গার ঘাটে বিজেপির তরফে বুধবার দলের অস্বাভাবিকভাবে মৃত কর্মীদের তর্পণের আয়োজন করা হয়। যাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সেখানে।
কলকাতা : মহালয়ার আগের দিন বুধবার রাজ্য বিজেপির তরফে তর্পণ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বাগবাজার ঘাট সংলগ্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হল। রাজ্যে বিজেপির তরফে এই আয়োজন করা হয়েছিল সেইসব মানুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণের জন্য যাঁরা তাঁদের দলীয় কর্মী হিসাবে কাজ করার সময় অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হয়েছেন বা খুন হয়েছেন।
বিজেপির তরফে এই আয়োজন পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হওয়ায় পুলিশ তাদের বাগবাজার ঘাটে এই কাজ করতে যেতে দেয়নি। যা নিয়ে প্রথমে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বাগবাজার ঘাটে তর্পণের আয়োজন করতে না পেরে বিজেপির তরফে পাশের গোলাবাড়ি ঘাটে জমা হয়ে সেখানে তর্পণের আয়োজন করা হয়। বিজেপি কর্মীরা সারি দিয়ে সাজিয়ে মৃতদের উদ্দেশ্যে পারলৌকিক কাজের বন্দোবস্ত করেন। গঙ্গায় নেমেও তর্পণ সহ পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় প্রমুখ নেতা। ছিলেন বিজেপি কর্মীরাও। গোলাবাড়ি ঘাটে তর্পণ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ তর্পণ করতে এলেও রাজ্যসরকার তাঁদের বাধা দিচ্ছে।
পুলিশ তাঁদের বাগবাজার ঘাটে তর্পণে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে এদিন বাগবাজারে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন তাঁরা। এতে স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব পড়ে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি নেতারা সহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে এদিন গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরো পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বুধবার বাগবাজার এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জনজীবন। পরে অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার মহালয়া। নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার তর্পণ হবে। মুখে মাস্ক থাকতে হবে। দূরত্ববিধিও মানতে হবে। তার আগের দিন এই উত্তেজনায় বাগবাজার অঞ্চলে কিছুটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে পুরসভার তরফে বিভিন্ন ঘাটে তর্পণের আগে বুধবার ঘাট পরিস্কারের বন্দোবস্ত করা হয়।