দলীয় নেতা কর্মীদের পুলিশ নির্মমভাবে মেরেছে অভিযোগ করে সোচ্চার সূর্য
নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা কর্মীদের পুলিশ নির্মমভাবে মেরেছে বলে অভিযোগ করে সোচ্চার হলেন সূর্য।
কলকাতা : নবান্ন অভিযান ঘিরে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই তুলকালাম দেখল রাজ্য। কলকাতা ও হাওড়ায় দুপুরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ৪টি মিছিল ৪ দিক দিয়ে নবান্নের দিকে যাত্রা শুরু করে। যা রুখে দিতে পুলিশ এদিন সজাগ ছিল। ৪টি জায়গাতেই প্রবল ধস্তাধস্তি হয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানেগ্যাস, জলকামানের ব্যাবহার করে। হয় লাঠিচার্জও। বিজেপি কর্মীরা অনেক জায়গায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
পুলিশ কিয়স্ক আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়। হয় ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীরা বৃষ্টির মত ইট ছুঁড়তে থাকেন। রাজ্য প্রশাসন দাবি করেছে বিজেপির এই মিছিলে হিংসার প্রমাণ মিলেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপির যুব মোর্চার নবনির্বাচিত সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ তেজস্বী সূর্য দাবি করেছেন এদিন পুলিশ নির্মমভাবে তাঁদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে।
সর্বভারতীয় সভাপতি পদ পাওয়ার পর এদিনই প্রথম রাস্তায় নেমে এত বড় একটি আন্দোলনে শামিল হলেন তেজস্বী। হাওড়া ময়দানে একটি মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। পরে বিজেপি সদর দফতরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী অভিযোগ করেন এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিজেপি শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিল বলেই দাবি করেছেন তিনি। পুলিশ সেই মিছিল রুখতে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ তেজস্বীর।
সূর্য এদিন সুর চড়িয়ে দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির যুব মোর্চাকে ভয় পেয়েছেন। তাই নবান্ন ২ দিন বন্ধ রেখেছেন। সূর্য বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন এই ভয়টা ভাল। এর মধ্যে দিয়েই একটি নতুন বাংলার জন্ম হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে বিজেপি বাংলার ক্ষমতায় আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজ্য প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। নবান্ন অভিযানের আগেই নবান্ন ২ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করেছেন অনেক নেতা। তেজস্বী সূর্য সহ অনেকেই এতে রাজ্য প্রশাসনের ভয় ও বিজেপির জয় দেখছেন।