সহযোগিতার রাজনীতির আশ্বাস বিজেপির
সহযোগিতার রাজনীতি করতে চান তাঁরা। দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চান। এদিন রাজ্যে তৃণমূলের ঝোড়ো জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
রাজ্যে অনেক কোণায় জনসভায় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। এদিন গণনা চলাকালীন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে জানান মানুষ সিন্ডিকেট চেয়েছেন, বস্তিতে থাকতে চেয়েছেন তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মানুষের মতদানকে এভাবে কী অপমান করা যায় সে প্রশ্নও ওঠে বিভিন্ন মহলে। তারপরে এদিন বিকেলে বিজেপির তরফে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কিন্তু অন্য কথা বলেন। সহযোগিতার রাজনীতির কথা বলেন তিনি।
দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা যে বিজেপি পালন করতে চায় সেকথা এদিন স্পষ্ট করে দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। জানান করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রেখেই লড়াই করতে।
তিনি এও বলেন যে এবারের ভোটে মানুষের রায় যদি তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়ে থাকে তবে তার জন্য দোষ মানুষের নয়, ভুল তাঁদের। তাঁদের সেই ভুল বিশ্লেষণ করে শুধরে নিতে হবে।
এদিন জয়প্রকাশবাবু আরও বলেন ফল ঘোষণার পর থেকে তাঁদের ওপর নানা জায়গায় আক্রমণ হচ্ছে। তিনি অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন তাঁর কর্মী সমর্থকদের একটু নিয়ন্ত্রিত করেন। বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে। এটা যেন না হয় সেদিকে নজর রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে বাম ও কংগ্রেস এদিন খালি হাতেই ফিরেছে। বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ জোটের ঝুলিতে মাত্র ১টি আসন এসেছে। ভাঙড় কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন আইএসএফ প্রার্থী।