অন্য রুটে বিজেপির মিছিল, পুর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
বিজেপির পুর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড হল কলকাতার চাঁদনি চকের কাছে। গ্রেফতার করা হয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু সহ অনেক কর্মীকে।
করোনার দাপট কিছুটা কমতেই মিছিল নগরী কলকাতার রাস্তায় শুরু হল প্রতিবাদ আন্দোলন। ভুয়ো টিকার প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। যদিও করোনা পরিস্থিতি ও রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধকে সামনে রেখে পুলিশের তরফে এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
যদিও তার তোয়াক্কা না করেই বিজেপি এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত শুরু করে। স্থির ছিল ওয়েলিংটন হয়ে মিছিল এগোবে পুরসভার দিকে।
কিন্তু তা না গিয়ে আচমকা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে এগোতে শুরু করে। পরে মিছিলে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ।
ওয়েলিংটন ধরে এগোনোর কথা মাথায় রেখে পুলিশ সেখানে গার্ডরেল দিয়ে জলকামান তৈরি রেখেছিল। কিন্তু আচমকা রুট বদল হওয়ায় পুলিশের অন্য একটি বাহিনী এনে পরিস্থিতি সামাল দেয় কলকাতা পুলিশ।
চাঁদনি চকের কাছে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি। বিজেপির মহিলা মোর্চার কয়েকজন কর্মী অসুস্থ হয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ও সায়ন্তন বসু সহ ৫০-এর ওপর বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করা হয়। খুব দ্রুত মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন মানুষের জন্য তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। একই কথা শোনা গেছে জয়প্রকাশ মজুমদারের কণ্ঠেও। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার দাবি করেন তৃণমূল সরকার হিটলারের মত ব্যবহার করছে।