আঁচটা বুধবারই পাওয়া গিয়েছিল। আর তার হাতেগরম প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার। বুধবার আসানসোলে বিজেপির আন্দোলন কর্মসূচিতে পেটে পাথরের আঘাত লাগে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-র। সেটাই বিজেপির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হাতে তুলে দেওয়া সুযোগকে রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যবহার করতে সময় নষ্ট করেননি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
বেশ কিছুদিন রাজ্যে বিজেপিকে সেভাবে খুঁজে না পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা তাদের দলের অন্যতম নেতা বাবুল সুপ্রিয়কে ইট মারার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে বিজেপির মিছিল। হাজরা রোডের কাছে তাদের পথ আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা এগোনোর চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অবস্থা চরম আকার নেয়। পুলিশকে লক্ষ করে শুরু হয় ইট বৃষ্টি। পাল্টা পুলিশেও লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত, আহত অবস্থায় বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সহ বহু নেতা-কর্মী। বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পরিকল্পনা করে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। সিপিএম যা করেছে তৃণমূলও এখন ঠিক তাই করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি বিজেপির তরফে তাঁদের মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ করা হয়েছে। এদিন বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির তরফে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। এদিকে বিজেপি-পুলিশ ধস্তাধস্তিতে হাজরা, রাসবিহারী সহ গোটা এলাকায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। বিকেলে রাস্তা কিছুটা পরিস্কার হলেও যানজট কাটেনি।