
গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা ছিল। বিজেপির অভিযোগ সেই সভামঞ্চ তাঁদের বাঁধতেই দেয়নি তৃণমূল। তাই দুপুরে মাটাডোরে দাঁড়িয়েই সভা করেন দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ সভা শেষ করে ফেরার সময় তাঁকে তাড়া করেন তৃণমূল কর্মীরা। ইট ছোঁড়া হয়। যার একটি দিলীপবাবুর পায়েও লাগে। দিলীপবাবুকে কাঁকিনাড়ায় হেনস্থার অভিযোগে শনিবার কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বিজেপি। চেষ্টা হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করার। পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।
কলকাতায় লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু দুপুরে মিছিল বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পৌঁছনোর পরই ব্যারিকেড করে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। পুলিশের কাছে প্রতিরোধ পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি নেতৃত্ব সেখানেই বক্তৃতা দিতে থাকেন। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি কুশপুতুল দাহ করতে যেতেই পুলিশ এগিয়ে আসে। পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভ দেখালেও কুশপুতুল তারা জ্বালাতে দেবে না। এদিকে বিজেপি কর্মীরাও অনড়। ফলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ সেই অবস্থায় কুশপুতুলটা বিজেপি সমর্থকদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে চলে আসে। তাতে আচমকাই বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে কুশপুতুল ফেরত পাওয়ার চেষ্টা চালান। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুলিশ অবস্থা আয়ত্তে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়েও যায়। পরে অবশ্য অবস্থা আয়ত্তে আসে।
কলকাতার পাশাপাশি এদিন আসানসোলেও বিজেপির রণংদেহী মূর্তি দেখা গেছে। বিজেপি কর্মীরা এদিন কাঁকিনাড়ার ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় গির্জা মোড় থেকে মিছিল বার করেন। সিটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে যখন মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করার চেষ্টা হয় তখনই পুলিশ বাধা দেয়। জানিয়ে দেওয়া হয় কুশপুতুল দাহ করা যাবে না। বিজেপি কর্মীদের হাত থেকে একরকম কুশপুতুল ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। এই করতে গিয়ে হাতাহাতিও হয় পুলিশের সঙ্গে। বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে এক মহিলা পুলিশকর্মী জখম হন।
বীরভূমের রামপুরহাটেও এদিন মিছিল করে বিজেপি। প্রতিবাদ হিসাবে শবমিছিল বার করে তারা। সেইসঙ্গে বর্ধমানের কাটোয়া-কালনা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সামনেও এদিন বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপি।